ঘটনা (১)-
চট্টগ্রাম কলেজের মাঠে বসে আছি। এমন সময় একটা ছোটভাইয়ের সাথে দেখা। কথায় কথায় হঠাৎ জিজ্ঞেস করে ভাইয়া কয়টা প্রেম করেন?? উত্তর শুনে অনেক গর্বের সাথে বলে, " ভাইয়া আপনারা ভার্সিটিতে পড়েও প্রেম করেন না, আর আমি ইন্টারে পড়েই অলরেডি ৮-১০ টা করে ফেলছি!! "
কিভাবে এই বিদ্যায় এত পারদর্শী হল তার বিবরণ ও দিল। আমি শুনেই হতবাক!!
চট্টগ্রাম কলেজের মাঠে বসে আছি। এমন সময় একটা ছোটভাইয়ের সাথে দেখা। কথায় কথায় হঠাৎ জিজ্ঞেস করে ভাইয়া কয়টা প্রেম করেন?? উত্তর শুনে অনেক গর্বের সাথে বলে, " ভাইয়া আপনারা ভার্সিটিতে পড়েও প্রেম করেন না, আর আমি ইন্টারে পড়েই অলরেডি ৮-১০ টা করে ফেলছি!! "
কিভাবে এই বিদ্যায় এত পারদর্শী হল তার বিবরণ ও দিল। আমি শুনেই হতবাক!!
ঘটনা (২) -
কোটিপতি রক্ষনশীল ঘরের মেয়ে মিথিলা। ইন্টারের ছাত্রী। রক্ষনশীল পরিবার বলে একা কখনো কোথাও বের হতে দেওয়া হয় না। যেখানে যায় মা সাথে করে নিয়ে যান। একদিন সেই মা যানতে পারেন তার মেয়ে কলেজ শেষ করার আগেই প্রেগনেট !! তিনি ভাবে কূল পান না এটা কেমনে সম্ভব!!
কোটিপতি রক্ষনশীল ঘরের মেয়ে মিথিলা। ইন্টারের ছাত্রী। রক্ষনশীল পরিবার বলে একা কখনো কোথাও বের হতে দেওয়া হয় না। যেখানে যায় মা সাথে করে নিয়ে যান। একদিন সেই মা যানতে পারেন তার মেয়ে কলেজ শেষ করার আগেই প্রেগনেট !! তিনি ভাবে কূল পান না এটা কেমনে সম্ভব!!
ঘটনা (৩):
মধ্যবিত্ত পরিবাবের মেয়ে তিশা। পড়ে ক্লাস টেন এ। যুগের অবস্থা খারাপ তাই ২৪ ঘন্টা মেয়ে যেদিকে যায় মেয়ের সাথে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন মেয়ের বিছানার নিছে একটা ফোন পান। যেই মা মেয়ের ভালর জন্য মেয়ের সাথে ২৪ ঘন্টা থাকেন সেই মেয়েই মাকে ফাকি দিয়ে চুরি করে ফোন ইউজ করে! কিন্তু তিনি ভেবে পান না গার্ল স্কুলে পড়া মেয়ে প্রেম করার সুযোগটা কোথায় পেল????
স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও আমরা বিশ্ব থেকে শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে সহ সব দিক দিয়ে পিছিয়ে আছি।
না সব দিক দিয়ে না আমরা নিজেদের অজান্তেই দুইটা সেক্টরে এগিয়ে গেছি বহুদূর।
একটা হল। " চুরিবিদ্যা/দুর্নীতি "
বাকিটা হল " প্রেমবিদ্যা। "
আজ শুনাব প্রেমবিদ্যাই কিভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এটারই কিছু অংশ।
আসলে আমাদের সমাজে মানুষরুপী কিছু জানোয়ার সৃষ্টি হয়ে গেছে। এদের জীবনের লক্ষ্যই প্রেমর ফাঁদে ফেলে মেয়েদের ভোগ করা।
আপনি আপনার প্রানপ্রিয় সন্তান/ বোন কে ভর্তি করাই দিলেন নামকরা কোন কোচিং কিংবা প্রাইভেট টিউটরের কাছে। কিন্তু আপনি জানেন না এখানে আগে থেকেই ওদের ভোগ করতে উৎ পেতে থাকে কিছু পশু।
এসব পশু প্রায় সব কোচিং এ ক্লাস করে, পড়ে সব টীচার এর প্রাইভেট এ!! এরা পড়তে নয় পড়ার নাম করে কোন মেয়ের দিকে থাকায় থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা!! কৌশলে কথা বলে বন্ধুত্ব করে প্রথমে। তারপর প্রেম তারপর....
আপনি জেনে অবাক হবেন এরা কমার্সের ছাত্র হয়ে প্রাইভেট পরতে যায় সাইন্স টীচারের কাছে। এরা ভার্সিটির ছাত্র হয়ে কোচিং করে ইন্টারের। এরা প্রাইভেট পড়ে স্যার দেখে নয়, সুন্দর মেয়ে দেখে। যেখানে সুন্দর মেয়েদের পদচারনা বেশি ওখানেই এরা হামলে পড়ে।
একজন অভিভাবক তার মেয়েকে কোচিং বা প্রাইভেটে ঢুকিয়ে বাইরে নিশ্চিন্তে বসে থাকেন, যাক আমার মেয়েটা এখন নিরাপদ, জ্ঞান অর্জন করুক। কিন্তু তিনি ঘুর্ণাক্ষরেও টের পান না ওখানেই গডে উঠছে প্রেমবিদ্যার পাঠশালা!! ওখানেই ওনার মেয়ের দিকে দিনের পর দিন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে দূর্বল করা হয়। নোট আদান-প্রদানের মাধ্যমে ওর মনের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া হয়। তারপর প্রপোজ তারপর সেই ডার্ক রেস্টুরেন্ট......
কিন্তু মেয়েটাও ঘূর্ণাক্ষরে টের পায় না কিছু। ও জানতে পারেনা এসব কিছুর মাধ্যমে ওকে ফাদে ফেলা হচ্ছে। মেয়েটা জানতেই পারে না ওকে ঐ ছেলেটা বন্ধুমহলে মেয়ে হিসেবে উল্লেখ করে না। করে " মাল " হিসেবে!!!
আমি নিজের চোখে এ ও দেখেছি এক ইন্টার পড়ুয়া মেয়ে ভার্সিটি পডুয়া বয়ফ্রেন্ডকে আরো বেশি কাছে পাওয়ার জন্য নিজের কোচিং এ ভর্তি করিয়ে দেয়!!! একসাথে ক্লাস করে!!!
আমি দেখেছি কোচিং এর সেই ভাইয়া টীচার কে, যে ক্লাসে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে প্রায় হাসত এবং যাদের প্রবলেম আছে তারা এই নাম্বার এ ফোন করিও বলে ফোন নাম্বার দিতে!! ক্লাসে সবচেয়ে সুন্দর মেয়েরা বরাদ্দ থাকত এসব ভাইয়াদের জন্য!!
আমি শুনেছি কিভাবে একটা মেয়েকে বাসায় পড়াতে গিয়ে ওকে ভোগ করা হয়!!!
আমি রাস্তাঘাটে প্রায় দেখছি আজকাল ফর্সা, কালো, সুন্দর, কুৎসিত, লম্বা- বেটে, ছোট-বড় কিছুই বাছ-বিছার না করেই যে যেভাবে পারছে, যাকে পারছে এই প্রেমবিদ্যায় মজিয়ে ভোগ করতে!!
আচ্ছা আমরা কি শুধু দেখেই যাব??
আমাদের কি করার কিছুই নেই???
বিশ্বাস করুন ওরা সংখ্যায় অতি নগন্য। কিন্তু আমদের নিশ্চুপতার সুযোগ নিয়ে এই নগন্য পশুরাই সমাজের সবচেয়ে মারাত্নক অপরাধটা করার সাহস পাচ্ছে!! এরা সংখ্যায় ৫% হয়েও ৫০% মেয়ের জীবন নষ্ট করতে পারে!!
আপনি বুঝান নিজেকে, বুঝান আপনার সন্তান কে, বুঝান আপনার বোনকে-ভাইকে । সতর্ক করে দিন এসব নরপশু সম্পর্কে। আপনার বোন/মেয়ের বন্ধু হয়ে যান। জানুন ওর সবকিছু। জেনে নিন ওর আশে পাশের মানুষগুলো কেমন যাদের সাথে ও মিশে।
আমাদের নিজেরই এগিয়ে আসতে হবে। আপনিও আগান। আপনি এগিয়ে আসলে বাচবে আপনার বোন বা কন্যা।
আপনি আমরা মিলেই সবাই।
সবাই এগিয়ে আসলে কেউ আমাদের পিছাতে পারবে না!!!
মধ্যবিত্ত পরিবাবের মেয়ে তিশা। পড়ে ক্লাস টেন এ। যুগের অবস্থা খারাপ তাই ২৪ ঘন্টা মেয়ে যেদিকে যায় মেয়ের সাথে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন মেয়ের বিছানার নিছে একটা ফোন পান। যেই মা মেয়ের ভালর জন্য মেয়ের সাথে ২৪ ঘন্টা থাকেন সেই মেয়েই মাকে ফাকি দিয়ে চুরি করে ফোন ইউজ করে! কিন্তু তিনি ভেবে পান না গার্ল স্কুলে পড়া মেয়ে প্রেম করার সুযোগটা কোথায় পেল????
স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও আমরা বিশ্ব থেকে শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে সহ সব দিক দিয়ে পিছিয়ে আছি।
না সব দিক দিয়ে না আমরা নিজেদের অজান্তেই দুইটা সেক্টরে এগিয়ে গেছি বহুদূর।
একটা হল। " চুরিবিদ্যা/দুর্নীতি "
বাকিটা হল " প্রেমবিদ্যা। "
আজ শুনাব প্রেমবিদ্যাই কিভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এটারই কিছু অংশ।
আসলে আমাদের সমাজে মানুষরুপী কিছু জানোয়ার সৃষ্টি হয়ে গেছে। এদের জীবনের লক্ষ্যই প্রেমর ফাঁদে ফেলে মেয়েদের ভোগ করা।
আপনি আপনার প্রানপ্রিয় সন্তান/ বোন কে ভর্তি করাই দিলেন নামকরা কোন কোচিং কিংবা প্রাইভেট টিউটরের কাছে। কিন্তু আপনি জানেন না এখানে আগে থেকেই ওদের ভোগ করতে উৎ পেতে থাকে কিছু পশু।
এসব পশু প্রায় সব কোচিং এ ক্লাস করে, পড়ে সব টীচার এর প্রাইভেট এ!! এরা পড়তে নয় পড়ার নাম করে কোন মেয়ের দিকে থাকায় থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা!! কৌশলে কথা বলে বন্ধুত্ব করে প্রথমে। তারপর প্রেম তারপর....
আপনি জেনে অবাক হবেন এরা কমার্সের ছাত্র হয়ে প্রাইভেট পরতে যায় সাইন্স টীচারের কাছে। এরা ভার্সিটির ছাত্র হয়ে কোচিং করে ইন্টারের। এরা প্রাইভেট পড়ে স্যার দেখে নয়, সুন্দর মেয়ে দেখে। যেখানে সুন্দর মেয়েদের পদচারনা বেশি ওখানেই এরা হামলে পড়ে।
একজন অভিভাবক তার মেয়েকে কোচিং বা প্রাইভেটে ঢুকিয়ে বাইরে নিশ্চিন্তে বসে থাকেন, যাক আমার মেয়েটা এখন নিরাপদ, জ্ঞান অর্জন করুক। কিন্তু তিনি ঘুর্ণাক্ষরেও টের পান না ওখানেই গডে উঠছে প্রেমবিদ্যার পাঠশালা!! ওখানেই ওনার মেয়ের দিকে দিনের পর দিন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে দূর্বল করা হয়। নোট আদান-প্রদানের মাধ্যমে ওর মনের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া হয়। তারপর প্রপোজ তারপর সেই ডার্ক রেস্টুরেন্ট......
কিন্তু মেয়েটাও ঘূর্ণাক্ষরে টের পায় না কিছু। ও জানতে পারেনা এসব কিছুর মাধ্যমে ওকে ফাদে ফেলা হচ্ছে। মেয়েটা জানতেই পারে না ওকে ঐ ছেলেটা বন্ধুমহলে মেয়ে হিসেবে উল্লেখ করে না। করে " মাল " হিসেবে!!!
আমি নিজের চোখে এ ও দেখেছি এক ইন্টার পড়ুয়া মেয়ে ভার্সিটি পডুয়া বয়ফ্রেন্ডকে আরো বেশি কাছে পাওয়ার জন্য নিজের কোচিং এ ভর্তি করিয়ে দেয়!!! একসাথে ক্লাস করে!!!
আমি দেখেছি কোচিং এর সেই ভাইয়া টীচার কে, যে ক্লাসে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে প্রায় হাসত এবং যাদের প্রবলেম আছে তারা এই নাম্বার এ ফোন করিও বলে ফোন নাম্বার দিতে!! ক্লাসে সবচেয়ে সুন্দর মেয়েরা বরাদ্দ থাকত এসব ভাইয়াদের জন্য!!
আমি শুনেছি কিভাবে একটা মেয়েকে বাসায় পড়াতে গিয়ে ওকে ভোগ করা হয়!!!
আমি রাস্তাঘাটে প্রায় দেখছি আজকাল ফর্সা, কালো, সুন্দর, কুৎসিত, লম্বা- বেটে, ছোট-বড় কিছুই বাছ-বিছার না করেই যে যেভাবে পারছে, যাকে পারছে এই প্রেমবিদ্যায় মজিয়ে ভোগ করতে!!
আচ্ছা আমরা কি শুধু দেখেই যাব??
আমাদের কি করার কিছুই নেই???
বিশ্বাস করুন ওরা সংখ্যায় অতি নগন্য। কিন্তু আমদের নিশ্চুপতার সুযোগ নিয়ে এই নগন্য পশুরাই সমাজের সবচেয়ে মারাত্নক অপরাধটা করার সাহস পাচ্ছে!! এরা সংখ্যায় ৫% হয়েও ৫০% মেয়ের জীবন নষ্ট করতে পারে!!
আপনি বুঝান নিজেকে, বুঝান আপনার সন্তান কে, বুঝান আপনার বোনকে-ভাইকে । সতর্ক করে দিন এসব নরপশু সম্পর্কে। আপনার বোন/মেয়ের বন্ধু হয়ে যান। জানুন ওর সবকিছু। জেনে নিন ওর আশে পাশের মানুষগুলো কেমন যাদের সাথে ও মিশে।
আমাদের নিজেরই এগিয়ে আসতে হবে। আপনিও আগান। আপনি এগিয়ে আসলে বাচবে আপনার বোন বা কন্যা।
আপনি আমরা মিলেই সবাই।
সবাই এগিয়ে আসলে কেউ আমাদের পিছাতে পারবে না!!!
[Writer- Tarekul Islam]
Ref-NET
Ref-NET
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন