বাংলাদেশে ভ্রমনের জন্য এ টু জেড না হলেও এ টু ভি হবে নি:সন্দেহে । পাশাপাশি যারা নদী ভ্রমন পছন্দ করেন তারাও বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন নদীতে নৌভ্রমন করতে পারেন ।
ঢাকা বিভাগ ঢাকার দর্শনীয় স্থান চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত ঢাকা চিড়িয়াখানায় আছে বাংলাদেশী সব পশুপাখি। অনেক দুর্লভ প্রজাতির সব প্রাণী দেখতে পাওয়া যাবে এখানে। প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন ঢাকার মিরপুর চিড়িয়াখানা সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেন গাছগাছালিতে সমৃদ্ধ। এখানে প্রায় ১৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানে ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলের বহু কৃষিজ, জলজ ও শোভাময় উদ্ভিদ। প্রবেশ মূল্য : পাঁচ টাকা। বলধা গার্ডেন ঢাকার ওয়ারীতে অবস্থিত বলধা গার্ডেন। নিসর্গী ও দর্শকদের জন্য বলধা গার্ডেন অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান এবং উপমহাদেশের এতদঞ্চলের ফুলের শোভা উপভোগের অন্যতম প্রখ্যাত ও ঐতিহাসিক উদ্যান। এটি প্রতিদিন খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য পাঁচ টাকা। অনূর্ধ্ব ১০ বছরের শিশুদের েেত্র প্রবেশমূল্য দুই টাকা। রমনা পার্ক নিসর্গপ্রেমীদের জন্য রমনা অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান। শহরের মূল কেন্দ্রে এর অবস্থান। শহরের বুকে এমন প্রকৃতি উপভোগের অন্যতম প্রখ্যাত ও ঐতিহাসিক উদ্যান আর নেই। পার্কে প্রবেশের কোনও রকম প্রবেশ ফি লাগে না। আহসান মঞ্জিল জাদুঘর পুরনো ঢাকার সদরঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল। প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ৫০ টাকা। কার্জন হল কার্জন হল ঢাকাতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ভবন, যা পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০৪ সালে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় এবং গভর্নর জেনারেল জর্জ কার্জন এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বর্তমানে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান অনুষদের কিছু শ্রেণীক ও পরীার হল হিসেবে ব্যবহƒত হচ্ছে। জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগে গেলে যে জিনিসটি আপনার সবার আগে নজরে পড়বে তা হল জাতীয় জাদুঘর। এর প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নভোথিয়েটার বিজয় সরণিতে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নভোথিয়েটার। এখানে দেখা যাবে আকাশ, নত্র, তারকারাজির উজ্জ্বল উপস্থিতি। প্রদর্শনী শুরু হয় সকালের প্রদর্শনীর এক ঘণ্টা আগে এবং অন্যান্য প্রদর্শনীর দুই ঘণ্টা আগে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। এখানে একই সময়ে ক্যাপসুল রাইড সিমুলেটরে ২০ টাকায় চড়া যাবে। সর্বোচ্চ ৩০ জন ধারণমতা সম্পন্ন এই রাইডে আপনিও চড়তে পারেন। টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। শহীদ জিয়া শিশু পার্ক শহীদ জিয়া শিশু পার্ক শাহবাগে অবস্থিত। সাপ্তাহিক বন্ধ রোববার। প্রতিটি রাইডে চড়ার জন্য মাথাপিছু ছয় টাকার টিকিট দরকার হয়। জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাভারে অবস্থিত আমাদের অহংকার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে ঢাকার সাভারে। যেভাবে যাবেন ঢাকায় বেড়াতে এসে যোগাযোগ করে নিতে পারেন নির্ধারিত তথ্যকেন্দ্র থেকে। প্রতিটি জায়গায় বাস, সিএনজি, রিকশা চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জের দর্শনীয় স্থান বাংলার তাজমহল ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের পেরাবে গড়ে উঠেছে বাংলার তাজমহল। এই তাজমহল দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সোনারগাঁওয়ের পেরাবে। এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা। দেখতে পাবেন আগ্রার তাজমহলের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে বাংলার তাজমহলটি। সোনারগাঁ জাদুঘর ঢাকার ঐতিহাসিক নগরী সোনারগাঁ। বাংলার এক সময়ের রাজধানী এই সোনারগাঁয়ে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর। লোকশিল্প জাদুঘর সোনারগাঁয়ের পানামে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্বপ্নে গড়া লোকশিল্প জাদুঘর। রূপগঞ্জ রাজবাড়ি ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মধ্যেখানেই রূপগঞ্জ। সেখানে আছে প্রায় শতবর্ষী রাজবাড়ি। অপূর্ব এই রাজবাড়ীর কারুকার্যমন্ডিত সৌন্দর্য দৃষ্টিনন্দন। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ শীতলক্ষ্যা, মেঘনা, পুরাতন ব্রক্ষপুত্র, বুড়িগঙ্গা, বালু এবং ধলেশ্বরী নদী যেভাবে যাবেন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে অথবা গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র যাবার বাস আছে। মুন্সিগঞ্জের দর্শনীয় স্থান ইদ্রাকপুর দুর্গ মুন্সীগঞ্জ ডাক বাংলোর পাশেই এ দুর্গটি অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে ফেরি পার হয়ে অল্প সময়েই পৌঁছা যায় মুন্সীগঞ্জ। গুলিস্তান থেকে এসব গাড়ি ছাড়ে। বিখ্যাত খাবারের নামসিরাজদিখানের পাতক্ষীরা নদী সমূহ পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি নদী যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে সড়কপথে অল্প সময়েই পৌঁছা যায় মুন্সিগঞ্জ। গুলিস্তান থেকে এসব গাড়ি ছাড়ে। মানিকগঞ্জের দর্শনীয় স্থান বালিয়াটি জমিদারবাড়ি মানিকগঞ্জে অবস্থিত বালিয়াটি জমিদারবাড়ি। নদী সমূহ পদ্মা, গঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতি, করতোয়া, বোরাসাগর তিস্তা ও ব্রক্ষ্মপুত্র যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে অনেক বাস যাতায়াত করে, ভাড়া পড়বে ৫০-৬০ টাকা। নরসিংদীর দর্শনীয় স্থান উয়ারী বটেশ্বর বাংলাদেশের প্রাচীনতম বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বর। লটকন বাগান: লটকন ফলের সীজনে , লটকন বাগান দেখতে যেতে পারেন নরংসিংদী ,বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের লাখপুর বিখ্যাত খাবারের নামসাগর কলা নদী সমূহ মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়ালখাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র যেভাবে যাবেন এখানে যেতে হলে আপনাকে সায়েদাবাদ থেকে সরাসরি বেলাবোর বাসে যেতে পারবেন। গাজীপুরের দর্শনীয় স্থান ভাওয়াল রাজবাড়ি; গাজীপুর সদরে অবস্থিত প্রাচীন এ রাজবাড়িটি। সুরম্য এ ভবনটিতে ছোট বড় মিলে প্রায় ৩৬০টি কক্ষ আছে। বর্তমানে এটি জেলাপরিষদ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান : গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর থানা জুড়ে অবস্থিত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। পৃথিবীর অন্যান্য জাতীয় উদ্যানের আদলে ৬৪৭৭ হেক্টর জমিতে ১৯৭৩ সালে এ উদ্যান সরকারি ভাবে গড়ে তোলা হয়। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বেশ কয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র, ১৩টি কটেজ ও ৬টি রেস্ট হাউস আছে। উদ্যানে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৬ টাকা। সফিপুর আনসার একাডেমি : জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমির বিশাল চত্ত্বর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত যায়গা। অনুমতি সাপেক্ষে বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে এখানে জাগ্রত চৌরঙ্গী গাজীপুর শহরের বেশ কিছুটা আগে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রথম স্মারক ভাস্কর্য “জাগ্রত চৌরঙ্গী”। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সংঘটিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে শহীদ হুরমত আলীসহ অন্যান্য শহীদদের স্মরণে ১৯৭১ সালেই নির্মিত হয় হয় এ ভাস্কর্যটি। এর স্থপতি আব্দুর রাজ্জাক। ভাস্কর্যটির উচ্চতা প্রায় একশো ফুট। আর এর দু “পাশে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১১ নং সেক্টরের ১০৭ জন এবং ৩নং সেক্টরের ১০০ জন শহীদ সৈনিকের নাম খোদাই করা আছে। ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী: ভাওয়াল রাজবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে মৃতপ্রায় চিলাই নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী। এটি ছিল ভাওয়াল রাজ পরিবার সদস্যদের সবদাহের স্থান। প্রাচীন একটি মন্দির ছাড়াও এখানে একটি সমাধিসৌধ আছে। সফিপুর আনসার একাডেমি :জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমির বিশাল চত্ত্বর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত যায়গা। অনুমতি সাপেক্ষে বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে এখানে। আরো আছে নন্দন পার্ক,বলধার জমিদার বাড়ী,বাড়ীয়া;৩পূবাইল জমিদার বাড়ী,পূবাইল,বলিয়াদী জমিদার বাড়ী ইত্যাদি নদী সমূহ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ,শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বংশী, বালু, বানার, গারগারা ও চিলাই কিভাবে যাবেন :ঢাকা থেকে গাজীপুর যেতে পারেন রেল ও সড়ক পথে। ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী প্রায় সব আন্তঃনগর, কমিউটার, মেইল ট্রেনে চড়ে আসতে পারেন গাজীপুর। এছাড়া ঢাকার কাঁচপুর ও যাত্রাবাড়ী থেকে ট্রান্স সিলভা, অনাবিল, ছালছাবিল পরিবহন, লোহারপুল থেকে রাহবার পরিবহন, মতিঝিল থেকে গাজীপুর পরিবহন, ভাওয়াল পরিবহন, অনিক পরিবহন, সদরঘাট থেকে আজমিরি, স্কাইলাইন পরিবহন, গুলিস্তান থেকে প্রভাতী বনশ্রী কোথায় থাকবেন : ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে দিনেই শেষ করা সম্ভব গাজীপুর ভ্রমণ। । কিছূ আবসিক হোটেল হলো হোটেল আল মদিনা, থানা রোডে হোটেল মডার্ণ, কোনাবাড়িতে হোটেল ড্রীমল্যান্ড ইত্যাদি কিশোরগঞ্জ দর্শনীয় স্থান ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ী ঃ ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী: কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিঃ মিঃ পূর্বে করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে জঙ্গলবাড়ীর অবস্থান দিল্লীর আখড়া : মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত। এগারসিন্দুর দুর্গ কিশোরগঞ্জ :লাল মাটি, সবুজ গাছগাছালি আর ঐতিহাসিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ এগারসিন্দুর। এটি ছিল ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুর। শোলাকিয়া ঈদগাহ: এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ হিসেবে শোলাকিয়া ঈদগাহ সর্বজন বিদিত।কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বপ্রান্তে প্রায় ৬.৬১ একর জমিতে অবস্থিত। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু (ভৈরব সেতু) ও হাওর অঞ্চল বিখ্যাত খাবারের নামকিশোরগঞ্জের তালরসের পিঠা ( চিনির শিরায় ভেজানো)মালাইকারি। ঠিকানা- মদন গোপালের মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, গৌরাঙ্গবাজার, কিশোরগঞ্জ,ভৈরবের নকশী পিঠা , নদী সমূহ ব্রহ্মপুত্র নদ, মেঘনা, ধনু, ঘোড়াউত্রা, বাউলাই, নরসুন্দা, মগরা, বারুনী, চিনাই, সিংগুয়া, সূতী, আড়িয়ালখাঁ, ফুলেশ্বরী, সোয়াইজানী, কালী নদী কুলা নদী ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান কাজী নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশাল : নজরুল স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা। ময়মনসিংহ শহর থেকে চল্লিশ মিনিটের পথ। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এ অঞ্চলে নজরুল স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোকে নজরুল পর্যটন নিদর্শন হিসেবে ঘোষণা করেছে। শিমলা দারোগা বাড়ি : কাজীর শিমলা দারোগা বাড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহের মূল্যবান সম্পদ। এখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ইসলাম এদেশে প্রথম পদার্পণ ঘটেছিল। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা : ময়মনসিংহ শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাহেব কোয়ার্টার নলিনী রঞ্জন সরকারের বাড়িতে এ সংগ্রহশালাটি অবস্থিত। ময়মনসিংহ বোটানিক্যাল গার্ডেন : বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে ৩ টাকা মূল্যের টিকিট কিনে প্রবেশ করতে হবে। পার্ক ঘেঁষে ব্রহ্মপুত্র নদ এ শহরের দর্শনীয় ভবনাদির মধ্যে অন্যতম হাসান মঞ্জিল। শহরে এটি একমাত্র ভবন, যা মুসলিম স্থাপত্যকর্মের অনুপম নিদর্শন। এছাড়া রয়েছে গফরগাঁও উপজেলার ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার, ওলি-আল্লাহর মাজার, ধোবাউড়া উপজেলার দর্শা গ্রামে মোগল আমলের পাকা মসজিদ ও মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি। এছাড়াও ময়মনসিংহ জাদুঘর, সোমেশ্বর বাবুর রাজবাড়ি, কিশোর রায় চৌধুরীর ভবন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আলেক জান্ডার ক্যাসেল,আনন্দ মোহন কলেজ, দুর্গাবাড়ী, কেল্লা তাজপুর ইত্যাদি। গারোগ্রাম আচ্কীপাড়া হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ , হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ১ নম্বর ভুবনকুড়া ইউনিয়নের এক সবুজ ছায়াঘেরা গ্রাম আচ্কীপাড়া। বিখ্যাত খাবারের নামমুক্তাগাছার মণ্ডা, ময়মনসিংহের আমিরতি,দয়াময়ী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের খেজুর গুরের সন্দেশ ( ময়মনসিংহ ),জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ছানার পোলাও ( ময়মনসিংহ ) নদী সমূহ রহ্মপুত্র, সুতিয়া, ক্ষিরু, সাচালিয়া, পাগারিয়া, নাগেশ্বর, কাচাঁমাটিয়া, আয়মন, বানার, নরসুন্দা, বোরাঘাট, দর্শনা, রামখালী, বৈলারি, নিতাই, কংশ, ঘুঘুটিয়া, সাতারখালী, আকালিয়া, জলবুরুঙ্গা, চৌকা মরানদী, রাংসা নদী কীভাবে যাবেন : মহাখালী থেকে নিরাপদ কিংবা সৌখিন পরিহনের বাস ২০ মিনিট পরপর ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ঢাকা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার ময়মনসিংহ। ঢাকা থেকে সময় লাগে ঘণ্টা তিনেক। বাসের ভাড়া পড়বে ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, ময়মনসিংহ হয়ে বাস যাতায়াত করে। ইচ্ছা করলে সেই বাসে চড়ে যাওয়া যায়। থাকার জন্য আবাসিক-অনাবাসিক হোটেল রয়েছে। ঘুরতে চাইলে জেলা শহর থেকে সিএনজি কিংবা লোকাল বাসে ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে আসতে পারেন। টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান রসনা বিলাসীদের জন্য উপভোগ্য সুস্বাদু চমচম, বাঙালী রমণীদের জন্য পরম আকর্ষণীয় তাঁতের শাড়ির জন্য টাঙ্গাইল জেলা দেশে বিদেশে সুপরিচিত। আতিয়া মসজিদ ,শাহ্ আদম কাশ্মিরির মাজার- দেলদুয়ার পরীর দালান, খামার পাড়া মসজিদ ও মাজার - গোপালপুর ঝরোকা , সাগরদিঘি ,গুপ্তবৃন্দাবন ,পাকুটিয়া আশ্রম ,ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ী ,ধলাপাড়া মসজিদ -ঘাটাইল ভারতেশ্বরী হোমস্, মহেড়া জমিদার বাড়ী/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার , মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ,পাকুল্লা মসজিদ:,কুমুদিনী নার্সিং স্কুল/ কলেজ- মির্জাপুর নাগরপুর জমিদার বাড়ি,পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল , উপেন্দ্র সরোব,গয়হাটার মট,তেবাড়িয়া জামে মসজিদ,,পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী ইত্যাদি- নাগরপুর বঙ্গবন্ধু সেতু ,এলেঙ্গা রিসোর্ট ,যমুনা রিসোর্ট , কাদিমহামজানি মসজিদ - কালিহাতী ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি,সন্তোষ,করটিয়া সা’দত কলেজ, কুমুদিনী সরকারী কলেজ,বিন্দুবাসিনীবিদ্যালয় ইত্যাদি - টাঙ্গাইল সদর,মধুপুর জাতীয় উদ্যান ,দোখলা ভিআইপ রেষ্ট হাউজ , পীরগাছা রাবার বাগান ইত্যাদি- মধুপুর ভূঞাপুরের নীলকুঠি , শিয়ালকোল বন্দর ইত্যাদি - ভূঞাপুর,ধনবাড়ি মসজিদ ও নবাব প্যালেস - ধনবাড়ি নথখোলা স্মৃতিসৌধ, বাসুলিয়া, রায়বাড়ী ইত্যাদি - বাসাইল,কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ,মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ - সখিপুর নদী সমূহ যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, লৌহজং, খিরু, যুগনী,ফটিকজানি,এলংজানি, লাঙ্গুলিয়া, ঝিনাই বিখ্যাত খাবারের নামটাঙ্গাইলের চমচম শেরপুরের দর্শনীয় স্থান মধুটিলা ইকোপার্ক: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পাহাড়ঘেরা পরিবেশে স্থাপিত দেশের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্ক। এখানে আছে ওয়াচ টাওয়ার , শিশুপার্ক , ক্যান্টিন, তথ্যকেন্দ্র ,ডিসপ্লে মডেল, গোলাপ বাগান, মিনি চিড়িয়াখানা , বিভিন্ন প্রাণীর ভস্কর্য , কৃত্রিম লেক, ষ্টার ব্রীজ , পেডেল বোট , স্টেপিং সিড়ি শেরপুরের গজনী ইকো পার্ক : ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ। লালমাটির উচু-নিচু,পাহাড়,টিলা, পাহাড়ী টিলার মাঝে সমতল ভূমি। দুই পাহাড়ের মাঝে পাহাড়ী ঝর্ণা একে বেঁকে এগিয়ে চলছে। ঝর্ণার পানি এসে ফুলেফেপে উঠছে। সেখানে বাধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম লেক। লেকের মাঝে কৃত্রিম পাহাড় এবং পাহাড়ের উপর “লেক ভিউপেন্টাগন” বিখ্যাত খাবারের নামশেরপুরের (জামালপুর) ছানার পায়েস, ছানার পোলাও নদী সমূহ ব্রহ্মপুত্র,ভোগাই, নিতাই, কংশ, সোমেশ্বরী, মহারশ্মি ,মালিঝি কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে যাতায়াতই সবচেয়ে উত্তম। উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল ুজামালপুর হয়েও আসতে পারেন সড়ক পথে কিংবা রেল পথে জামালপুর পর্যন্ত তার পর জামালপুর থেকে সড়ক পথে আসতে পারেন। শেরপুর শহর থেকে গজনীর দুরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সরাসরি মাইক্রো বাস অথবা প্রাইভেটকারে গজনী অবকাশ যেতে পারেন। ঢাকা থেকে নিজস্ব বাহনে মাত্র সাড়েতিন থেকে চার ঘন্টায় ঝিনাইগাতীর গজনী আসা যায়। এ ছাড়া ঢাকার মহাখালি থেকে ড্রিমল্যান্ড বাসে শেরপুর আসা যায়। কোথায় থাকবেন : শহরে রাতযাপনের জন্য ৫০ থেকে ৫শত টাকায় গেষ্ট হাউজ রোম ভাড়া পাওয়া যায়। শহরের রঘুনাথ বাজারে হোটেল সম্পদ, বুলবুল সড়কে কাকলী ও বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, নয়ানী বাজারে ভবানী প্লাজা, বটতলায় আধুনিক মানের থাকার হোটেল রয়েছে। এ জামালপুরের দর্শনীয় স্থান গারো পাহাড়ের পাদদেশে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত বাংলাদেশের ২০তম জেলা জামালপুর,দেওয়ানগঞ্জের সুগার মিলস লাউচাপড়া পিকনিক স্পটঃ জায়গাটি জামালপুর জেলার অধীনে হলেও যাওয়ার সহজপথ হলো শেরপুর হয়ে। ঢাকা থেকে সরাসরি শেরপুরে যায় ড্রীমল্যান্ড পরিবহনের বাস। ভাড়া ১১০ টাকা। ড্রীমল্যান্ড স্পেশালে ভাড়া ১৪০ টাকা। শেরপুর থেকে বাসে বকশীগঞ্জের ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা গান্ধি আশ্রমঃ মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাস হাটিয়া গ্রামে গান্ধি আশ্রম কেন্দ্র রয়েছে। দারকি : দারকি গ্রাম ইসলামপুর :মাছ ধরার বিশেষ এক ধরনের ফাঁদের নাম “দারকি”। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার হাতিজা গ্রামের নাম বদলে দিয়েছে এই দারকি। যমুনা ফার্টিলাইজার , বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঝিনাই নেত্রকোনার দর্শনীয় স্থান গারো পাহাড়ের পাদদেশ লেহন করে এঁকেবেঁকে কংশ, সোমেশ্বরী নদীসহ অন্যান্য শাখা নদী নিয়ে বর্তমান নেত্রকোণা জেলা , বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক দৃশ্য, দূর্গাপুর,রানীখং মিশন, দূর্গাপুর,টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ, দূর্গাপুর,কমলা রাণী দিঘীর ইতিহাস, দূর্গাপুর,সাত শহীদের মাজার, কলমাকান্দা,হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রাঃ)-এঁর মাজার শরীফ, নেত্রকোণা সদর,রোয়াইল বাড়ি কেন্দুয়া কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরায় মুক্তিযুদ্ধে সাত শহীদের মাজার, চেংনি ও গোবিন্দপুরে পাহাড়ের নৈসর্গিক প্রকৃতি ও পাগলা কৈলাটির কালা চানশাহের মাজার, দুর্গাপুর বিজয়পুরের চিনামাটির পাহাড়, গারো পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য, টংক আন্দোলনের জন্য খ্যাত হাজংমাতা রাশিমনি স্মৃতিসৌধ, রানীখং মিশন টিলায় ক্যাথলিক গির্জা, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী, কমলা রানীর দীঘি, বাউরতলা গ্রামের কথিত নইদ্যা ঠাকুরের ভিটা বিজয়পুরে দেশের সর্ববৃহৎ চীনামাটির খনি, বিরিশিরি উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী রানীখং পাহাড়ি টিলার ওপর অপরূপ শোভামণ্ডিত বাংলাদেশের সর্বপ্রথম খ্রিস্টান ক্যাথলিক গির্জা, হাজং মাতা রাশিমনি হাজংয়ের স্মৃতিসৌধসহ আদিবাসীদের আতিথেয়তা পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো। বিখ্যাত খাবারের নামনেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি নদী সমূহ মগড়া, কংশ,সোমেশ্বরী, ধনু নদী ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭টা সাড়ে ৭টার মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর বাস ছেড়ে যায়। ভাড়া গেটলক ২০০ টাকা। শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলের মধ্যে আল নূর রাতযাপনের জন্য যথেষ্ট ভালো। ভাড়া ডাবল বেড ৩৫০ টাকা। খাওয়ার জন্য স্টেশন রোডের আলেফ খাঁর হোটেল ও বিকালের নাস্তার জন্য বড় বাজারের ইসমাইলের হোটেল। রাজবাড়ীর দর্শনীয় স্থান ১। কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কমপ্লেক্স ২। এ্যাক্রোবেটিক সেন্টার ৩। রাজবাড়ী সুইমিং পুল ৪। কুটি পাঁচুরিয়া জমিদার বাড়ী ৫। গোদার বাজার পদ্মা নদীর তীর ৬। রাজবাড়ী উদ্যান বেস নদী সমূহ পদ্মা, গড়াই, চন্দনা, চত্রা, হড়াই ও কুমার গোপালগঞ্জ দর্শনীয় স্থান বঙ্গবন্ধু সমাধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া বিলরুট ক্যানেল: মধুমতির মানিকদাহ বন্দরের নিকট থেকে উত্তর এবং উত্তর পূর্ব দিকে উরফি, ভেড়ারহাট, উলপুর, বৌলতলী, সাতপাড়, টেকেরহাট হয়ে আড়িয়াল খাঁর শাখা নদী উতরাইল বন্দরের কাছাকাছি পর্যন্ত ৬০/৬৫ কিলোমিটার র্দীঘ ক্যানেল খনন করা হয় ৭১ এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ) :মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সংলগ্ন ৭১ এর বধ্যভূমি (জয়বাংলা পুকর) মাদারীপুরের দর্শনীয় স্থান পর্বতের বাগান(মস্তফাপুর), প্রণবানন্দের মন্দির(বাজিতপুর), গণেশ পাগলের মন্দির(কদমবাড়ী), রাজারাম রায়ের বাড়ি(খালিয়া), সেনাপতির দিঘি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি(মাইজপাড়া) ,আলগী কাজি বাড়ি মসজিদ, রাজা রাম মন্দির, ঝাউদি গিরি, আউলিয়াপুর নীলকুঠি , মিঠাপুর জমিদার বাড়ি, প্রণব মঠ, বাজিতপুর, মঠের বাজার মঠ, খোয়াজপুর, খালিয়া শান্তিকেন্দ্র, পর্বতের বাগান, শকুনী লেক, সেনাপতির দিঘি বিখ্যাত খাবারের নামখেজুরের গুড়ের(পাতিগুড়) জন্য বিখ্যাত নদী : পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, কুমার, পালরদী শরিয়তপুরের দর্শনীয় স্থান ফতেহজংপুর দুর্গ, মুঘল আমলের বিলাসখান মসজিদ, মহিষের দিঘী, দক্ষিণ বালুচর মসজিদ,হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি,মানসিংহের বাড়ী। রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদ রংপুর। প্রাচীন জনপদের বরেন্দ্র অঞ্চলের অংশ এটি। সময়ের বিবর্তনে এ অঞ্চল প্রাচীন ঘোড়াঘাট, মোগল, ব্রিটিশ শাসনামলে আসে। রংপুরের দর্শনীয় স্থান রংপুরে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন নামকরা শিা প্রতিষ্ঠান কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। অপরূপ কারুকার্যখচিত এ কলেজে একটি গম্বুজও রয়েছে। আছে রাজপ্রাসাদতুল্য তাজহাট জমিদারবাড়ি। মীরগঞ্জে রয়েছে বিশাল একটি দীঘি। এখানে আরও রয়েছে লালবিবির সমাধিসৌধ, ফকিরনেতা মদিনীর কবর ও মোগল আমলের মসজিদ। পায়রাবন্দে আছে মহীয়সী বেগম রোকেয়ার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়, বেগম রোকেয়ার স্মৃতিফলক এবং রোকেয়া পরিবারের সদস্যদের ব্যবহƒত একটি শানবাঁধানো দীঘিও রয়েছে। পীরগঞ্জের চুতরাহাটের পশ্চিমে রয়েছে নীল দরিয়ার বিল। তারাগঞ্জে গেলে দেখা মিলবে তারাবিবির মসজিদের। গঙ্গাচরার কুঠিপাড়ায় নীলকুঠি। পীরগাছায় দেবী চৌধুরানীর রাজবাড়ি, ইটাকুমরার শিবেন্দ্র রায়ের রাজবাড়িটিও দেখার মতো। এছাড়াও আছে, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, শিরিন পার্ক, টিকলির বিল, খাতুনিয়া লাইব্রেরি, দমদমা ব্রিজ, পরেশনাথ মন্দির, কেরামতিয়া মসজিদ, ভিন্ন জগৎ। বিখ্যাত খাবারের নামরংপুরের সিঙ্গারা হাউজের সিঙ্গারা with সস্ নদী সমূহ তিস্তা, যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে ছাড়া বাসগুলো হচ্ছে হানিফ, কেয়া, আগমনী, নাবিল, শ্যামলী, এসআর ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : রংপুরের আবাসিক হোটেলগুলো বনফুল, জুঁই, গোল্ডেন টাওয়ার, বিজয়, রজনীগন্ধা, øিগ্ধা, মাছুম, ঢাকা হোটেল ইত্যাদি। রয়েছে পর্যটন মোটেলও। দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান দিনাজপুরে রয়েছে রাজা রামনাথের অবিস্মরণীয় কীর্তি রামসাগর দীঘি। রয়েছে কান্তজীর মন্দির যা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর মন্দির। রয়েছে প্রাচীনতম বিহার সীতাকোট, দীর্ঘ ১ মাইল লম্বা দুর্গ ঘোড়াঘাট, গোরা শহীদের মাজার, সীতার কুঠরি, সিংহদুয়ার প্রাসাদ, বারদুয়ারি, শিশুপার্ক। বিখ্যাত খাবারের নামলিচু, কাটারিভোগ চাল, চিড়া, পাপড় নদী সমূহ ঢেপা নদী,করতোয়া নদী,নাগর, মহানন্দা, ঘোড়ামারা, টাংগন, তালমা, ডাহুক, কুলিক ও পুনর্ভবা কীভাবে যাবেন : এসআর, হানিফ, শ্যামলী, কেয়ায় চড়ে দিনাজপুর যাওয়া যায়। কোথায় থাকবেন : পর্যটন মোটেল রয়েছে দিনাজপুরে। হোটেলের মধ্যে রয়েছে, আল রশীদ, নবীন, কণিকা, ডায়মন্ড, বিহানা, নিউ হোটেল ইত্যাদি। [/b]লালমনির হাটের দর্শনীয় স্থান [/b] তিস্তার পাড় তিস্তা ব্যারাজ: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে তিস্তা নদীর ওপর গড়ে তোলা হয় বাঁধ। যাকে বলা হয় তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প। দেশের বৃহত্তম ৬১৫ মিটার দীর্ঘ এ ব্যারাজে ৪৫টি গেট রয়েছে। তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম-আংগরপোতা ছিটমহল বুড়িমারী স্থল বন্দর তিস্তা রেল সেতু বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ ধরলা নদী ও দক্ষিনে তিস্তা নদী কীভাবে যাবেন : এসআর, হানিফ, শ্যামলী, কেয়া এবং রেলে চড়ে লালমনিরহাট যাওয়া যায়। ঠাকুরগাওএর দর্শনীয় স্থান জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জহাট। হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ। রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি : রানীশংকৈল উপজেলার পূর্বপ্রান্তে কুলিক নদীর তীরে মালদুয়ার জমিদার রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি। দিঘি : ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে প্রাচীনকালে বেশ কিছু নদী ও নিচু জলাভূমি ছিল। হরিণমারীর আমগাছ :প্রায় দুই বিঘা জায়গাজুড়ে শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে আছে ২০০ বছরের বেশি বয়সী এক আমগাছ। মাটিতে নেমে এসেছে ১৯টি মোটা মোটা ডাল। গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ৮০ ফুট আর ঘের ৩০ ফুট।ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে হরিণমারী। রাউতনগর সাঁওতালপল্লী রানীশংকৈল: ঠাকুরগাঁও সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রাউতনগর গ্রাম। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ টাঙ্গন নদী,ভুল্লী নদী,নাগর নদী, পঞ্চগড়ের দর্শনীয় স্থান ভিতরগড়ঃ পঞ্চগড় শহর থেকে ১০ মাইল উত্তরে বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত বরাবর পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত এই গড়। মহারাজার দিঘীঃ পঞ্চগড় শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তরে পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত একটি বড় পুকুর বর্তমানে যা মহারাজার দিঘী নামে পরিচিতি সমতল ভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা বাগান : পঞ্চগড় জেলার সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাম্প্রতিকালে সমতল ভূমিতে চা গাছের চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর ঃহিমালয়ের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। এই উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশ মানচিত্রের সর্বউত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর। নদী সমূহ করতোয়া, আত্রাই, তিস্তা, মহানন্দা, টাংগন, ডাহুক, পাথরাজ, ভুল্লী, তালমা, নাগর, চাওয়াই, কুরুম, ভেরসা, তিরনই ও চিলকা। কীভাবে যাবেন : সড়কপথ। তেঁতুলিয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত হানিফ এন্টারপ্রাইজ, কেয়া পরিবহন, কান্তি পরিবহন ও শ্যামলী এন্টারপ্রাইজের বাস নিয়মিত যাতায়াত করে।। সেখান থেকে বিডিআরের অনুমতি সাপেক্ষে ভ্যানযোগে জিরো পয়েন্ট দর্শন করা যায়। যাতায়াতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা খরচ হবে। কোথায় থাকবেন : তেঁতুলিয়ায় আবাসিক কোনো হোটেল না থাকায় জেলা পরিষদের প্রাচীন ডাকবাংলো ও পিকনিক কর্নার রাতযাপনের একমাত্র ভরসা। নীলফামারীর দর্শনীয় স্থান সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ, দুন্দিবাড়ী স্লুইসগেট , বাসার গেট ,নীলফামারী যাদুঘর ,নীলসাগর, হরিশচন্দ্রের পাঠ, ধর্মপালের গড়, কুন্দপুকুর মাজার, ময়নামতির দূর্গ, ভীমের মায়ের চুলা ইত্যাদি। নদী সমূহ তিস্তা, বুড়িতিস্তা, বুড়িখোড়া ও চাড়ালকাটা কুড়িগ্রামের দর্শনীয় স্থান চিলমারীর বন্দর: সাতভিটায় পাখির ভিটারাজারহাট, কুড়িগ্রাম পাখিদের কষ্ট করে ছানা বড় করতে দেখে আমির উদ্দিনের খুব মায়া হতো। তার বাড়িটিই এখন পাখিদের অভয়ারণ্য। কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৪ কি.মি. দূরে কুড়িগ্রাম-উলিপুর সড়কের পাশে আনন্দবাজার। সেখান থেকে ৩ কি.মি. উত্তরে রাজারহাট উপজেলার সাতভিটা গ্রাম। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ ব্রক্ষ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমর, ফলকুমর, নীলকমল, গঙ্গাধর, শিয়ালদহ, কালজানী, বোয়ালমারি, ধরনী, হলহলিয়া, সোনাভরি, জিঞ্জিরাম, জালছিড়া রাজশাহী বিভাগ ইতিহাস, ঐতিহ্য আর পুরাকীর্তির নিদর্শনের জন্য রাজশাহী স্মরণীয়। রাজশাহীর অঙ্গসৌষ্টবে খেলা করে সবুজশ্যামল শোভা। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান পদ্মা তীরে নির্মিত শাহ মখদুমের স্মরণে মাজার। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট দরগাটির স্থাপত্যশৈলী অতুলনীয়। গোদাগাড়িতে রয়েছে নবাব আলীবর্দী খানের তৈরি একটি দুর্গ। পুঠিয়ায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঐতিহাসিক অনেক কীর্তির বিশালায়তনের পুঠিয়া রাজবাড়ি, শিবমন্দির, বড়কুঠি, গোবিন্দমন্দির, গোপালমন্দির, দোলমঞ্চ ইত্যাদি। এছাড়াও রাজশাহীতে দেখা যাবে লালকুঠি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শিরোইল মন্দির, বরেন্দ্র জাদুঘর, বাঘমারা রাজবাড়ি, ভুবনেশ্বর মন্দির, রাধাকৃষ্ণের ঝুলন মন্দির ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নামরাজশাহীর রসকদম,বিরেন দার সিঙ্গারা (অলকার মোড়, রাজশাহী),তিলের জিলাপি। ঠিকানা- বর্ণালীর মোড়, রাজশাহী।, বারভাজা। ঠিকানা- বাটার মোড়, রাজশাহী। নদী সমূহ পদ্মা কীভাবে যাবেন : সড়ক যোগাযোগ ভালো হওয়ায় রাজশাহী যেতে বেগ পেতে হয় না। ট্রেনেও যেতে পরেন। কোথায় থাকবেন : উলেখযোগ্য আবাসিক হোটেলগুলো হচ্ছে রজনীগন্ধা, গুলশান, মুক্তা, বসুন্ধরা, নাইস, ওয়ে হোম ইত্যাদি। চাপাইনবাবগঞ্জের দর্শনীয় স্থান দেখতে পাবেন নুসরাত শাহ্ নির্মিত সোনা মসজিদ, ঐতিহাসিক কানসাট। এছাড়াও মহানন্দা নদী পার হওয়ার পরই পথের দু’ধারে তরুণ বাহারি আমের বৃরে সারি আপনার মনে নাড়া দেবে। বিখ্যাত খাবারের নামচাঁপাইনবাবগঞ্জের কলাইএর রুটি,চাপাই নবাব গঞ্জের শিবগঞ্জের চমচম,শিবগঞ্জের (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) চমচম, প্যারা সন্দেশ। নদী সমূহ মহানন্দা কিভাবে যাবেন : দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে খুব সহজেই আসতে পারেন এখানে। যেমনÑহানিফ ন্যাশনাল, এনপি, মডার্ন, গ্রিন লাইন বাসে করে আসতে পারেন । পাবনার দর্শনীয় স্থান অনেক কারণেই পাবনা খ্যাত। পাবনায় অবস্থিত দেশের একমাত্র মানসিক হাসপাতালটি। পাবনার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান হচ্ছেÑ এডওয়ার্ড কলেজ, চাটমোহর শাহী মসজিদ, ভাঁরারা মসজিদ, কাজীপাড়া মসজিদ, জোড়াবাংলা মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, ফরিদপুর জমিদার বাড়ি, তাড়াশ জমিদার বাড়ি, দুলাই জমিদার বাড়ি, শিতলাই জমিদার বাড়ি, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন সেতু ইত্যাদি। ঈশ্বরদী ইপিজেড, নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল এবং ডাল ও আখ গবেষণা কেন্দ্র। আছে ফুরফুরা দরবার শরীফ। পাশেই পাবনা শহর, মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। সেখানে দেখতে পাবেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ি, কোর্ট বিল্ডিং, অনুকুল ঠাকুরের আশ্রাম, জোড়বাংলা, বিখ্যাত মানসিক হাসপাতাল, রায় বাহাদুরের গেট, পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক পুরনো কীর্তি। পাকশী রিসোর্ট থেকে লালন শাহের মাজারে যাওয়া যায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটে। ইচ্ছা করলে এখান থেকে শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়িতে সড়কপথ বা নদীপথেও যেতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের বসতভিটা থেকে। মুক্তিযুদ্ধকালে দেশের প্রথম স্ব্বাধীন রাজধানী মুজিবনগরেও যেতে পারেন। যেতে পারেন বনলতা সেন খ্যাত নাটোরের রাজবাড়িসহ পুঠিয়া রাজবাড়িতে শরিফা বাগানঈশ্বরদী, পাবনা জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামে বাদশার এই শরিফা বাগান। মুড়ি গ্রাম, মাহমুদপুর, পাবনা মাহমুদপুরের মুড়ি সারা দেশে মশহুর। বহু বছর ধরে মাহমুদপুরের লোকজন মুড়ি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। পাবনা শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম মাহমুদপুর। বিখ্যাত খাবারের নামপাবনার প্যারাডাইসের প্যারা সন্দেশ,পাবনার শ্যামলের দই নদী সমূহ কিভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে বাদল, শ্যামলী, দুলকী, মহানগর ইত্যাদি বাস পাবনায় যায়। কোথায় থাকবেন : থাকা-খাওয়ার জন্য ছায়ানীড়, রোহান, প্রবাসী, ইডেন, স্টার ইত্যাদি হোটেল রয়েছে। সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদচিহ্ন পড়েছে সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুরের কাচারিবাড়িতে। সিরাজগঞ্জের বড় আকর্ষণ, যমুনা সেতু। নবগ্রামে রয়েছে প্রাচীন দুটি মসজিদ। এছাড়া রয়েছে বাণীকুঞ্জ, সিরাজীর মাজার, লোহারপুল, মক্কা আউলিয়া মসজিদ, নবরতœ ,মন্দির, শিবমন্দির জয়সাগর, মহাপুকুর আখড়া, এনায়েতপুর পীর সাহেবের মসজিদ। মিল্কভিটা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ইকোপার্ক, বাঘাবাড়ি বার্জ মাউনন্টেড বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বাঘাবাড়ি নদী বন্দর বিখ্যাত খাবারের নামসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পানিতোয়া,সিরাজগঞ্জের ধানসিঁড়ির দই। নদী সমূহ যমুনা, বড়াল, ইছামতি, করতোয়া, হুরাসাগর, গোহালা, বাঙ্গালী, গুমনী এবং ফুলঝুড়ি কীভাবে যাবেন : সিরাজগঞ্জ যাওয়ার বেশকিছু পরিবহন রয়েছে। তবে বিআরটিসিই সর্বোত্তম। কোথায় থাকবেন : আবাসিক হোটেল হচ্ছেÑ পূবালী, মনি, অনীক, মাদারবক্স, সুফিয়া, যমুনা, আজাদ গেস্ট হাউজ ইত্যাদি। নওগাঁর দর্শনীয় স্থান এখানে দেখতে পাবেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য পতিসর, ১৯২৩ সালে আবিষ্কৃত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, পতœীতলায় অবস্থিত দিব্যক স্মৃতিস্তম্ভ, নসরত শাহ নির্মিত কুশুম্বা মসজিদ। এছাড়াও রয়েছে করোনেশন থিয়েটার, অনিমেষ লাহিড়ীর বাড়ি, পালবংশের স্মৃতি বহনকারী সাঁওতালপাড়া। কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সড়কপথে নওগাঁ যাওয়া বেশকিছু বাস রয়েছে। এগুলো হচ্ছে রোজিনা, হানিফ, শ্যামলী, এসআর, কেয়া ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নামনওগাঁর রসমালাই,নওগাঁর প্যারা সন্দেশ,মহাদেবপুর উপজেলার গরম গরম স্পন্জের মিস্টি। নদী সমূহ আত্রাই, পুনর্ভবা, ছোট যমুনা, নাগর, চিরি কোথায় থাকবেন : নওগাঁয় রয়েছে বেশকিছু আবাসিক হোটেল। রাজ হোটেল, তাজ হোটেল, পাঁচভাই হোটেল, স্মরণী হোটেল, যেখানে থাকতে পারবেন। নাটোরের দর্শনীয় স্থান এখানে রয়েছে রানী ভবানীর বাড়ি, দীঘাপাতিয়া রাজবাড়ি যা উত্তরা গণভবন নামেও পরিচিত। সুদৃশ্য একটি বাগানের পাশাপাশি রয়েছে দোলমঞ্চ, সিংহদালান, মন্দির ও অট্টালিকা, ঠাকুরবাড়ি কাব, দাতব্য চিকিৎসালয়, পাওয়ার হাউস ইত্যাদি। এছাড়াও উনিশ শতকে নির্মিত কোতোয়ালি দরগা, বুড়ামাদারের দরগা, গাড়িখানা দরগা, ময়দাপট্টি দরগা, কানাইখালী দরগা। বিখ্যাত খাবারের নামনাটোরের কাচাগোল্লা নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা ও চট্টগ্রাম সড়কপথে নাটোর যাওয়া যায়। উলেখযোগ্য পরিবহনগুলো হচ্ছে হানিফ, মডার্ন, এনপি এলিগ্যান্স, ন্যাশনাল ট্রাভেলস ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : থাকার জন্য রয়েছে বেশকিছু মাঝারি মানের হোটেলÑ রাজবিহারী বোর্ডিং, রাজ বোর্ডিং, নাটোর বোর্ডিং, ক্রিসেন্ট বোর্ডিং ইত্যাদি। বগুড়ার দর্শনীয় স্থান বগুড়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হল ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়। এখানে শীলাদেবীর ঘাট, গোবিন্দভিটা দেখে অভিভূত হতে হয়। এছাড়া খুব নিকটেই আছে বেহুলা লখিন্দরের বাসর। লোহায় নির্মিত বেহুলা লখিন্দরের বাসরঘরটি এই গ্রামের দণি-পশ্চিম প্রান্তে। বিখ্যাত খাবারের নাম: বগুড়ার দই মহাস্থানের কটকটি নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে বগুড়া যাওয়ার পরিবহনগুলো হচ্ছে শ্যামলী, এসআর, হানিফ, কেয়া, গ্রিনলাইন ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : বগুড়ায় থাকার জন্য বেশকিছু হোটেল ও মোটেল রয়েছে। হোটেলগুলো হচ্ছেÑ হোটেল হক, আকবরিয়া, পাঁচতারা, আলমাস, মনোয়ারা হোটেল ইত্যাদি। জয়পুরহাট র দর্শনীয় স্থান আছরাঙ্গা দিঘি :জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের রসুলপুরে প্রায় সাড়ে ২৫ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত ঐতিহাসিক আছরাঙ্গা দিঘি। শামুকখোল গ্রামক্ষেতলাল, জয়পুরহাট শামুকখোল সহজলভ্য পাখি নয়। এই পাখি বাসা বেঁধেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর সাখিদারপাড়া গ্রামে। গ্রামবাসী বলল, সংখ্যায় হাজার ছাড়াবে। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ চট্রগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশে ভ্রমণ আর চট্রগ্রাম যেন এক সুতোয় গাঁথা। পাহাড়ি অঞ্চল বলে কথা। বেড়ানো বা ভ্রমণ মানেই যেন চট্টগ্রাম! স্রষ্টা অকৃপণ হাতে সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান চট্টগ্রামের মূল শহরে প্রবেশের পথে বাসে বসেই দেখতে পাবেন সীতাকুণ্ড। এখানে বৌদ্ধমন্দিরে গৌতম বুদ্ধের পায়ের ছাপ রয়েছে। দেখতে পারেন বারো আউলিয়ার মাজার, মিলিটারি একাডেমি, হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে পুরনো ও সুবিশাল তীর্থস্থান কৈবল্যধাম, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, এশিয়া মহাদেশের দুটি জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের চট্টগ্রামে অবস্থিত জাদুঘরটি, সীতাকুণ্ড থানার চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত ইকোপার্ক, ফয়’স লেক, বাটালি পাহাড়, চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশস্থল লালদীঘি ময়দান যেখানে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলি খেলা হয়। এছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের একাংশ এখানে সমাধিত্রে ওয়ার সিমেট্রি এবং বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার। বিখ্যাত খাবারের নামচট্টগ্রাম, জিইসি মোড়ে ক্যান্ডির জিলাপি।চট্রগ্রামের মেজবানের মাংস,চিটাগাং এর মিষ্টি পান,জামানের চা (আন্দর কিল্লা),ইকবালের সন্দেশ(দেওয়ান বাজার),বোম্বাইয়াওয়ালার ক্ষীর(এনায়েত বাজার) নদী সমূহ যেভাবে যাবেন : দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকেই সরাসরি চট্টগ্রামের উদ্দেশে বাস ছাড়ে। এস আলম, সৌদিয়া, ভলবো, চ্যালেঞ্জার, দ্রুতি, ইউনিক ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : চট্টগ্রামে আবাসিক হোটেলগুলোর সিংহভাগই স্টেশন রোডে অবস্থিত। স্টেশন রোড ছাড়াও হোটেল রয়েছে নন্দনকাননে, মাদারবাড়ি, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদও অন্যান্য এলাকায়। বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান বান্দরবানে দেখার মতো রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতÑ কেওক্রাডং ও তাজিনডং, রয়েছে প্রান্তিক লেক, রাজবাড়ি, নদী, জলপ্রপাত। আছে মেঘলা পর্যটন কমপেক্স, আকর্ষণীয় বোমাং রাজার বাড়ি। রয়েছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহীর বৌদ্ধমন্দির জাদী পাহাড়, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান জাদী পাহাড়, শঙ্খ নদী, বান্দরবানের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার ফুট উচ্চতা চিম্বুক পাহাড় । নদী সমূহ কোথায় থাকবেন : বান্দরবান শহরে রয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল। এগুলো হচ্ছেÑ গ্রিনহিল, পুরবী, হিলবার্ড, হাবিব বোর্ডিং ও বিলাকিস হোটেল, মিলনছড়ি কটেজ। রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান রাঙ্গামাটি এবং ঝুলন্ত ব্রিজ দুটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঝুলন্ত ব্রিজের অবস্থান পর্যটন কমপেক্সে। দেখতে পারেন কাপ্তাই লেক। নানা শ্রেণীর উপজাতিরÑ মুরং, বম, পাংখো, খেয়াং, বনযোগী প্রভৃতি উপজাতির বাসস্থান কাসালং । কর্ণফুলি পেপার মিল, চাকমা উপজাতি অধ্যুষিত বরকল, কাপ্তাই লেকের দ্বীপজুড়ে চাকমা রাজার বাড়ি। বিখ্যাত খাবারের নামরাঙ্গামাটির জুম রেস্তোরার বাঁশের ভেতর তৈরী খাবার। নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : দেশের প্রায় সবগুলো জেলা থেকেই রাঙ্গামাটির বাস ছাড়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে যায় অনেকগুলো পরিবহন। কোথায় থাকবেন : রাঙ্গামাটিতে রয়েছে বেশকিছু মোটেল ও হোটেল। এগুলো হচ্ছেÑ পর্যটন হলিডে কমপেক্স, হোটেল গ্রিন ক্যাসেল, সুফিয়া, মধুমতি, গোল্ডেন হিল, সৈকত, শাপলা, ডিগনেটি ইত্যাদি। খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান আর্য বনবিহার বৌদ্ধমন্দির। যেখানে রয়েছে বুদ্ধদেবের সুদৃশ্য একটি মূর্তি। আরও রয়েছে পিকনিক স্পট আলুটিলা, মং উপজাতিদের প্রধান আবাসস্থল মানিকছড়ি, রামগড়, নিবিড় অরণ্য, দুর্গম পাহাড় ও আপন খেয়ালে বয়ে চলা ঝরনাøাত (তৈদুছড়া ঝরনা)অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান দীঘিনালা, বড় বৌদ্ধমূর্তি সমৃদ্ধ শান্তিপুর অরণ্য কুটির। নদী সমূহ চিংগ্রী, মাইনি, ফেনী ও হালদা যেভাবে যাবেন : ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং দেশের বেশকিছু এলাকা থেকে খাগড়াছড়িতে বাস যাতায়াত করে। তবে নির্ভরযোগ্য পরিবহন হচ্ছেÑ সৌদিয়া, এস আলম, শান্তি পরিবহন ইত্যাদি। চট্টগ্রামের দামপাড়া, ঢাকার কমলাপুর থেকে খাগড়াছড়ির বাস ছাড়ে। কোথায় থাকবেন : খাগড়াছড়ি সদরে এবং বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আবাসিক হোটেল। এসব হোটেল অবস্থানকারীরা মুগ্ধ হবেন হোটেল কর্তৃপরে আতিথেয়তায়। কুমিলার দর্শনীয় স্থান কুমিলার উলেখযোগ্য পর্যটন স্পটগুলো হচ্ছে, বৌদ্ধ সংস্কৃতির অন্যতম তীর্থভূমি কুমিলার ময়নামতি। এছাড়াও রয়েছে ছোটখাটো টিলার সমষ্টি লালমাই পাহাড়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিহার আনন্দবিহার, বাংলাদেশে দুটি শালবনের একটি, ধর্মসাগর নামের বিশাল একটি দীঘি, স্থাপত্যশিল্পের অনন্য নিদর্শন শাহসুজা মসজিদ অন্যতম। বিখ্যাত খাবারের নামকুমিল্লার রসমালাই নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : সড়কপথে এবং রেলপথে খুব সহজেই কুমিলা যাওয়া যায়। এশিয়ালাইন, তিশা, প্রিন্স, প্রাইম, ইত্যাদি বাস চলাচল করে। কোথায় থাকবেন : রাতযাপন করার মতো হোটেলের অভাব কুমিলায় নেই। উলেখযোগ্য কিছু হোটেল হচ্ছেÑ আবেদীন, নূরজাহান, আশিক, মেরাজ, ময়নামতি ইত্যাদি। এছাড়াও কুমিলায় রয়েছে বেশকিছু ভালোমানের রিসোর্ট। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দর্শনীয় স্থান উলচাপড়া মসজিদ, বৌদ্ধ মন্দির (দেবগ্রাম), কৈলাগড় জাঙ্গাল, নবীনগর মঠ, হরিপুর জমিদারবাড়ি ধরন্তী নৌকাঘাট দুই পাশে বিলের মাঝখান দিয়ে সড়ক। সন্ধ্যায় সূর্য ডোবা দেখতে অনেক লোক ভিড় করে। স্থানীয়রা বলে সরাইলের কঙ্বাজার। ঈদ, দশমী বা পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে এখানে লোক উপচে পড়ে। রেলস্টেশন থেকে সরাইল যাওয়া যায় অটোরিকশায়। ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। নদী সমূহ মেঘনা, তিতাস, বুড়ি এবং হাওড়া চাদপুরের দর্শনীয় স্থান সাহারপারের দিঘী, রহিমানগর, কচুয়া, চাঁদপুর। সাহেবগঞ্জ নীল কুঠি,সাহেবগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। , সাহেবগঞ্জ ফিরিঙ্গী গোলন্দাজ বণিকেরা নীল চাষের খামার হিসেবে একটি ব্যবসা কেন্দ্র ও শহর গড়ে তুলেছিল। রূপসা জমিদার বাড়ী,রূপসা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর, ভিঙ্গুলিয়া, হাইমচর, চাঁদপুর। বলাখাল জমিদার বাড়ী, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। নদী সমূহ মেঘনা,ডাকাতিয়া,ধনাগোদা কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। রয়েছে প্রবাল পাথরের ও স্বচ্ছ জলধারার ছোট দ্বীপ সেন্টমার্টিন। পাহাড়ি ঝরনা থেকে শীতল পানি প্রবাহের স্থান হিমছড়ি, বাংলাদেশের শেষ ভূখণ্ড এবং শেষ জলসীমা টেকনাফ, হরেক রকম রঙবেরঙের পাথর বেষ্টিত ইনানী সৈকত, ৯ হেক্টর অরণ্যজুড়ে গঠিত দুলাহাজরা সাফারি পার্ক, বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী, বাতিঘর কুতুবদিয়া, এখানে রয়েছে অসংখ্য বৌদ্ধ মূর্তি সমৃদ্ধ দরিয়ানগর, রহস্যময় কানারাজার সুড়ঙ্গ, বৌদ্ধধর্মের স্মৃতি বহনকারী রামু জাদুঘর। বিখ্যাত খাবারের নামপৌশির ভর্তা আইটেম, নিরিবিলির খিচুড়ি নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে খুব সহজেই বাসে করে কক্সবাজার যাওয়া যায়। রয়েছে এস আলম, সৌদিয়া, সোহাগ, গ্রিনল্যান্ড, টোকিও লাইন, শ্যামলী, গ্রিনলাইন ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : কক্সবাজারে রয়েছে বিভিন্ন মানের, মানভেদে দামের, অনেকগুলো হোটেল ও মোটেল। কিছু হোটেল সৈকত-লাগোয়া। নির্ভরযোগ্য সরকারি ও বেসরকারি হোটেল হচ্ছেÑ হোটেল শৈবাল, মোটেল প্রবাল, মোটেল উপল, লাবনী, ড্রিমল্যান্ড ইত্যাদি। নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান বাংলাদেশের দক্ষিণে মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি সুপ্রাচীন জনপদ নোয়াখালী জেলা। নোয়াখালী জেলার দক্ষিণে অবস্থিত নিঝুম দ্বীপ দর্শনীয় স্থান হিসাবে দিন দিন খ্যাতি লাভ করছে। এছাড়াও দৃষ্টি নন্দন বজরা শাহী মসজিদ, সোনাপুরে লুর্দের রাণীর গীর্জা, উপমহাদেশ খ্যাত সোনাইমুড়ির জয়াগে অবস্থিত গান্ধি আশ্রম, নোয়াখালীর উপকূলে নতুন জেগে উঠা চরে বন বিভাগের সৃজনকৃত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, মাইজদী শহরে অবস্থিত নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ , নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মাইজদী বড় দীঘি, কমলা রাণীর দীঘি, কীভাবে যাবেন : নোয়াখালী জেলায় যাতায়তের জন্য সড়ক ও রেল– এ দু’ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্হা চালু রয়েছে। তবে সড়ক যোগাযোগই প্রধান । এস আলম, সৌদিয়া, সোহাগ, কেয়া পরিবহন, শ্যামলী, গ্রিনলাইন ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নামনোয়াখালীর নারকেল নাড়– ও ম্যাড়া পিঠা, নদী সমূহ কোথায় থাকবেন : নোয়াখালীতে রয়েছে বিভিন্ন মানের, মানভেদে দামের, অনেকগুলো হোটেল হোটেল মৌচাক হোটেল লিটন,হোটেল নিজাম,হোটেল আর-ফারহান,হোটেল রয়েল,হোটেল মোবারক,সাথী আবাসিক হোটেল,হোটেল প্রিন্স আবাসিক (হাতিয়া),হোটেল সিঙ্গাপুর আবাসিক (হাতিয়া),হোটেল হংকং আবাসিক (হাতিয়া) ইত্যাদি। ফেনীর দর্শনীয় স্থান ফেনতে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সেচ প্রকল্প সোনাগাজী মুহুরী সেচ প্রকল্প। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুহুরী রেগুলেটরের চারদিকে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম জলরাশি,বনায়ন,মাছের অভয়ারণ্য, পাখির কলকাকলি,বাঁধের দুপাশে নীচ থেকে পাথর দিয়ে বাঁধানো এবং উপরদিকে দুর্বা ঘাসের পরিপাটি বিছানা । মুহুরীর জলরাশিতে নৌভ্রমণের সময় খুব কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং প্রায় ৫০ জাতের হাজার হাজার পাখির দেখা পাওয়া যায় । এছাড়া পাগলা মিঞাঁর মাজারঃ শিলুয়ার শীল পাথরঃরাজাঝীর দীঘিঃবিজয় সিংহ দীঘিঃ নদী সমূহ ফেনী, ছোট ফেনী, মুহুরী কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে খুব সহজেই বাসে এবং রেলে করে ফেনী যাওয়া যায়। বাস সাভির্স এস আলম, সৌদিয়া, সোহাগ, কেয়া পরিবহন, শ্যামলী, গ্রিনলাইন ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : ফেনীতে রয়েছে বিভিন্ন মানের, মানভেদে দামের, অনেকগুলো হোটেল । নির্ভরযোগ্য সরকারি ও বেসরকারি হোটেল হচ্ছেÑ হোটেল অবকাশঃ, হোটেল গাজী ইন্টারন্যাশনালঃ, হোটেল মিড নাইটঃ , সরকারী রেষ্ট হাউজসমূহঃ ইত্যাদি। লক্ষীপুর দর্শনীয় স্থান তিতা খান জামে মসজিদ, মিতা খান মসজিদ, মধু বানু মসজিদ, দায়েম শাহ মসজিদ, আব্দুল্লাহপুর জামে মসজিদ, শাহাপুর নীল কুঠি, শাহাপুর সাহেব বাড়ী , দালাল বাজার জমিদার বাড়ী, শ্রীগোবিন্দ মহাপ্রভু আখড়া, দালাল বাজার মঠ, খেয়া-সাগর-দীঘি, কমলা সুন্দরী দীঘি, রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ী, শ্যামপুর দরগা শরিফ, কচুয়া দরগা, কাঞ্চনপুর দরগা ইত্যাদি নদী সমূহ মেঘনা নদী, , দৌলতখাঁ, ভোলা, ডাকাতিয়া। সিলেট বিভাগ সিলেটকে বলা হয় পুণ্যভূমি। চায়ের রাজধানীও সিলেট। এই ছুটিতে সিলেট গিয়ে উপভোগ করুন সৌন্দর্য। সিলেটের দর্শনীয় স্থান হজরত শাহজালাল (র.) এর মাজার সিলেট শহরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে উত্তরে জিন্দাবাজার ছাড়িয়ে কিছুটা উত্তরে এ মহান আউলিয়ার মাজার। প্রধান গেট ছাড়িয়ে একটু ভেতরে গেলেই মাজার কমপেক্স। প্রথমেই চোখে পড়বে দরগাহ মসজিদ। হজরত শাহ পরান (র.) মাজার সিলেটে আরেক পুণ্যভূমি হজরত শাহজালাল (র.) এর ভাগ্নে হজরত শাহ পরানের মাজার। শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দণি গাছের খাদিম পাড়ায় রয়েছে এ মহান ব্যক্তির মাজার। লাকাতুরা চা বাগান সিলেট শহর থেকে এয়ারপোর্ট রোড ধরে কিছু দূর এগুলেই দেখা যাবে এ চা বাগানটি। চা বাগানটি ঘুরে ভালো লাগার আবেশে মনটা ভরে যাবে কম বেশি সবার। বিখ্যাত খাবারের নামসিলেটের সাতকড়ার আচার,সিলেটে উন্দাল এর স্পেশাল ভেজিটেবল,সিলেটের পাঁচলেয়ার চা, সিলেটের চুঙ্গাপুড়া, নদী সমূহ সুরমা, কুশিয়ারা যেভাবে যাবেন সিলেট যেতে হলে আপনি ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে গাড়ি ছাড়ে। তবে গ্রিন লাইন, সোহাগ, হানিফ, আলবারাকা, শ্যামলীসহ অনেক বাস প্রতিদিন ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা করে। যেখানে থাকবেন সিলেটে থাকার মতো ভালোমানের অনেক হোটেল আছে। আপনি ফরচুন গার্ডেন, হোটেল সুপ্রিম এবং হোটেল রোজভিউয়ের মতো আধুনিক হোটেলে থাকতে পারেন। জাফলং-এর দর্শনীয় স্থান সিলেট শহর থেকে জাফলং-এর দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। ভারতের সীমান্তঘেঁষে খাসিয়া জয়ন্তিয়া পাহাড়ের কোলে মনোরম দৃশ্যের এ স্থানটি। জাফলং যেতে পথে পড়বে জৈন্তা রাজবাড়ী, তামাবিল, শ্রীপুর। যেভাবে যাবেন সিলেট থেকে বাসে করে সরাসরি জাফলং যেতে পারেন। যেখানে থাকবেন সিলেটে থেকে আপনি দিনে গিয়ে দিনেই ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে ভালো হোটেল নেই। সুরমা ভেলী সুরমা ভেলীর দুই দিকে পাহাড় পর্বতের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকার মাঝখানে চা রোপণের দৃশ্য ও সবুজ বন সত্যিই মনকে মুগ্ধ করবে। বাংলাদেশের পর্যটন স্হানগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ খাসিয়া, জৈন্তা ও ত্রিপুরা পাহাড় এখানেই অবস্হিত। সিলেট হচ্ছে চা বাগানের একটি শস্যভান্ডার, এখানে ১৫০ টির উপরে চা বাগান আছে যার মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তিনটি চা বাগান এখানে অবস্হিত মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থান মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত পাথরিয়া পাহাড়ের প্রায় ২৭২ ফুট উপর হতে অবিরাম গতিতে জলরাশির নিচে পতিত হওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে মাধবকুণ্ড। মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক, পরিকুন্ড জলপ্রপাত,হামহাম ঝর্না,হাকালুকি হাওড়, বিখ্যাত খাবারের নামচ্যাপ্টা রসগোল্লা মৌলভীবাজার নদী সমূহ যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে সিলেট যেতেই পড়ে মৌলভীবাজার। সেখানে নেমে আপনি মাধবকুণ্ডে বেড়াতে পারেন। যেখানে থাকবেন মাধবকুণ্ডে থাকার কোন ভালো ব্যবস্থা নেই। আপনি শ্রীমঙ্গল টি-রিসোর্টে থাকতে পারেন। শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থান লাউয়াছড়ার সৌন্দর্যমণ্ডিত বনভূমি আর বিস্তীর্ণ চা বাগান দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে শ্রীমঙ্গলে। যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের সরাসরি অনেকগুলো বাস সার্ভিস আছে। সেগুলোতে চড়ে যেতে পারেন। যেখানে থাকবেন শ্রীমঙ্গল টি-রিসোর্ট কয়েকটি জায়গা আছে থাকার। বর্ষিজোড়া ইকোপার্কে বাইক্কা বিল হবিগঞ্জের দর্শনীয় স্থান রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারন্যটি বাংলাদেশের একমাত্র ভার্জিন বন। এই বনের অবস্থান হবিগঞ্জ জেলায়। মূল বনে যাবার মাধ্যম হলো চুনারুঘাট উপজেলা শহর থেকে জীপে অথবা অটোরিকশায়। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান । নদী সমূহ কালনী, কুশিয়ারা, খোয়াই, গোপালা, সুতাং, করোঙ্গী, রতœা, বরাক সুনামগঞ্জের দর্শনীয় স্থান হাছন রাজার বাড়ি সুনামগঞ্জে তার জš§স্থান ও বাসগৃহে রয়েছে একটি সংগ্রহশালা। হাছন রাজার ব্যবহƒত বেশ কিছু জিনিস সংরতি আছে এখানে। টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ আর পাখির অভয়ারণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সুরমা নদী থেকে কিছুটা দুর্গমে টাঙ্গুয়ার হাওর। টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ জাদুকাটা নদী,মহাসিং নদী যেভাবে যাবেন সুনামগঞ্জের পথেও অনেক ভালো বাস সার্ভিস আছে। যেখানে থাকবেন সেখানে থাকার জন্য হাতেগোনা ভালো হোটেল আছে। তবে এমনি কয়েকটা লজও আছে, সেখানে থাকতে পারবেন। খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের দণি-পশ্চিমপ্রান্তে বঙ্গোপসাগরের কাছেই খুলনার অবস্থান। খুলনার পরিচিতি সবার কাছে সুন্দরবনের জন্য। খুলনার দর্শনীয় স্থান খুলনাতে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর অন্যতম। রয়েছে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন “সুন্দরবন”। বিখ্যাত খাবারের নামখুলনার চুই-রাজ হাঁসের মাংস নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। এছাড়া খুলনায় ট্রেনে যাওয়া যাবে। কোথায় থাকবেন : শহর খুলনায় থাকা-খাওয়ার জন্য হোটেল রয়েল, হোটেল টাইগার গার্ডেন, হোটেল ক্যাসল সালামসহ বেশ কয়েকটি ভালো মানের হোটেল রয়েছে। বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থান এই জেলায় রয়েছে খানজাহান আলীর মাজার ও তার দীঘি, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ জামে মসজিদ, ষাটগম্বুজ জাদুঘর, প্রতœতত্ত্বের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন নিদর্শন। খানজাহানের মাজারের পাশে আরও আছে অনেকগুলো মসজিদ ও দীঘি। নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। খুলনা নেমে লোকাল বাসে বাগেরহাট যাবে। কোথায় থাকবেন : থাকা-খাওয়ার জন্য বাগেরহাট সদরে আছে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল। যশোরের দর্শনীয় স্থান শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি। ক্ষণিকা পিকনিক কর্নার (খানজাহান আলী কর্তৃক খননকৃত) ও মির্জানগর।প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে চাঁচড়া রাজবাড়ি, কালী মন্দির, গাজী কালুর দরগা, সিদ্দিরপাশার দীঘি ও মন্দির, রাজা মুকুট রায়ের রাজবাড়ির বিখ্যাত খাবারের নাম যশোরের জামতলার মিষ্টি,যশোরের খেজুরের নোলন গুড়ের প্যারা সন্দেশ যশোরের খেজুর রসের ভিজা পিঠা নদী সমূহ ভৈরব, কপোতাক্ষ, মুক্তেশ্বরী, বেতনা, চিত্রা, হরিহর, শ্রীনদী , টেকানদী, কোদলী নদী, ভদ্রা নদী এবং ইছামতি নদী কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস যশোরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। কোথায় থাকবেন : যশোর শহরে থাকা ও খাওয়ার জন্য মোটামুটি মানের কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। নড়াইলের দর্শনীয় স্থান নড়াইল গিয়ে সবার আগেই হাজির হতে পারেন বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের বাড়ি। বর্তমানে তার বাড়িতে একটি জাদুঘর আছে। বিখ্যাত খাবারের নাম নড়াইলের নলেন গুড়ের সন্দেশ নদী সমূহ চিত্রা, নবগঙ্গা, মধুমতি, ভৈরব, আফরা, কাজলা নদী কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে প্রতিদিন সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন এসি, নন এসি বাস নড়াইলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কোথায় থাকবেন : নড়াইল শহরে থাকার জন্য মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। মাগুরার দর্শনীয় স্থান রাজা সীতারাম রায়-এর রাজবাড়ী (মোহম্মদপুর), কবি কাজী কাদের নওয়াজ-এর বাড়ী (শ্রীপুর), বিড়াট রাজার বাড়ী (শ্রীপুর), পীর তোয়াজউদ্দিন (র) এর মাজার ও দরবার শরীফ (শ্রীপুর)দের চাঁদের হাট, আঠার খাদার সিদ্ধেশ্বরীর মঠ, গরিব শাহের মাজার,হাজী আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব কেবলা রহঃ) এর দরগাহ ও মাজার শরীফ(মাগুরা ভায়না মোড়)। বিখ্যাত খাবারের নামমাগুরায় বিখ্যাত খামারপাড়ার দই। নদী সমূহ গড়াই/মধুমতি, কুমার, চিত্রা, নবগঙ্গা, ফটকী ও মুচিখালী জেলার প্রধান নদ নদী। কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থান কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় দেখার স্থান হল শিলাইদহের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। এখানে রয়েছে ফকির লালন শাহের মাজার। এছাড়াও দেখতে পাবেন মীর মশাররফ হোসেনের বাড়ি, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। কুষ্টিয়ায় মহিষের দুধের দই।:কুষ্টিয়ার স্পেশাল চমচম কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন এসি/নন এসি বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। নদী সমূহ গড়াই,মাথাভাঙ্গা ,মধুমতি, কুমার কোথায় থাকবেন : কুষ্টিয়া শহরে থাকা ও খাওয়ার জন্য মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় এসব হোটেলে প্রতি রাত থাকা খাওয়া যায়। ঝিনাইদাহ দর্শনীয় স্থান মিয়ার দালান : জেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নবগঙ্গা নদীর তীরে মুরারীদহ গ্রামে প্রাচীন জমিদার বাড়ি মিয়ার দালান অবস্থিত। নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী মন্দির : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের দুই কিলোমিটার পশ্চিমে নলডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। বারোবাজার : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপনা। ধারণা করা হয়, বহুকাল আগে এখানে সমৃদ্ধ একটি শহরের অস্তিত্ব ছিল। গোরাই মসজিদ : ১৯৮৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ মসজিদটির সংস্কার করে। গলাকাটা মসজিদ : বারোবাজার-তাহিরপুর সড়কের পাশে অবস্থিত পোড়ামাটির কারুকাজ-সমৃদ্ধ প্রাচীন মসজিদ। জোড়বাংলা মসজিদ : ১৯৯২-৯৩ সালে খননের ফলে বারোবাজারের এ মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। পাতলা ইটে নির্মিত এ মসজিদটি উঁচু একটি বেদির ওপরে নির্মিত। সাতগাছিয়া মসজিদ : বারোবাজার থেকে এ মসজিদের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। এ মসজিদটি ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম স্থানীয় জনগণ আবিষ্কার করে। কালু ও চম্পাবতীর সমাধি : বারোবাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজী-কালু ও চম্পাবতীর সমাধি। গাজী-কালু ও চম্পাবতীর সমাধি নিয়ে নানান লোককাহিনি প্রচলিত আছে। শৈলকুপা শাহী মসজিদ : জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে শৈলকুপা বাজারের পাশেই অবস্থিত প্রাচীন স্থাপনা শৈলকুপা শাহী মসজিদ। মলিস্নকপুরের বটবৃক্ষ : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে দশ কিলোমিটার পূর্বে মলিস্নকপুরে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি বটবৃক্ষ। নবগঙ্গার সেই রূপ নেই। নেই ঝিনুকেরও সমাহার। তারপর নবগঙ্গা নদী ছাড়া দর্শনীয় স্থানের তালিকায় রয়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় কুমার নদের তীরে দরগা পাড়ার প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি উত্তরে ৩১ ফুট ও দক্ষিণে ২১ ফুট লম্বা। এর পূর্ব দেয়ালে ৩টি ও উত্তর-দক্ষিণ দেয়ালে ২টি করে দরজা আছে। এর ৬টি গম্বুজ আছে। এ মসজিদটি সুলতান নাসির উদ্দিন শাহ ১৫১৯-১৫৩১ সালের মধ্যে কোন এক সময় তৈরি করেন। এর কারুকাজ এখনো শিল্পবোদ্ধাদের কৌতূহলের উদ্রেগ করে। ঐতিহাসিক গোরাই মসজিদ।: ঝিনাইদহ থেকে বারবাজারের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এখানে আছে ঐতিহাসিক গোরাই মসজিদ। বারবাজারে ১২৬টি দিঘি ও পুকুর আছে। স্থানীয়দের ভাষায় এ মসজিদটি গোরাই গাজীর মসজিদ। এ মসজিদের গম্বুজ ১টি হলে এর কারুকাজ কিন্তু সৌন্দর্যে কোন অংশে কম নয়। ঝিনাইদহ শহরের পাশেই পাগলা কানাইয়ের মাজার। মুরারিদহে কুমার নদের পাশে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীলকুঠিয়ালদের বাড়ি। নীলকুঠি : ঝিনাইদহে যাবেন আর নীলকুঠি দেখবেন না তা কিন্তু হয় না। বাংলার নীলচাষ ও নীলবিদ্রোহ সম্পর্কে জানার জন্য কৌতূহল আপনাকে তাড়া করে ফিরবে। মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনকালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ আর দুই বছর পর, মানে ২০১২ সালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটির বয়স ১০০ বছর হবে। নদী সমূহ বেগবতী, ইছামতী, কোদলা, কপোতাক্ষ, নবগঙ্গা, চিত্রা ও কুমার নদী কিভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সড়কপথে সরাসরি ঝিনাইদহ যাওয়া যায়। গাবতলী বাস স্টেশন থেকে জে আর পরিবহন (০১৭১৯৮১৮৪৮৩), পূর্বাশা পরিবহন (০১৭১৯৮৮৮৪২৪), চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স (০১৭১২০১৭৪৯৬), শ্যামলী পরিবহন, ঈগল পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এসবি পরিবহন, দিগন্ত পরিবহনসহ আরো অনেক বাস ঝিনাইদহ যায়। ভাড়া ২৫০-২৮০ টাকা। কোথায় থাকবেন : মাওলানা ভাসানী সড়কে হোটেল ঝিনুক (০৪৫১-৬১৪৬০, নন এসি একক ১০০ টাকা, নন এসি দ্বৈত ২৫০ টাকা, এসি দ্বৈত ৪০০ টাকা)। পোস্ট অফিস মোড়ে হোটেল জামান (০১৭১১১৫২৯৫৪, নন এসি একক ৬০ টাকা, নন এসি দ্বৈত ১২০ টাকা)। মেহেরপুরের দর্শনীয় স্থান মেহেরপুর জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে এই মুজিবনগর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এখানেই গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। আরও দেখতে পাবেন আমঝুপি নীলকুঠি, দর্শনা চিনিকল, কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চত্বর, বলভপুর মিশন, বরকত বিবির মাজার, শেখ ফরিদের দরগাহ, বলভপুর শিব মন্দির, স্বামী নিগমানন্দের আশ্রম, ভাইকারা নীলকুঠি, সাহার কাঠি নীলকুঠি ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নাম বিখ্যাত মিষ্টি সাবিত্রি ও রসকদম্ব নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে গাবতলী থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস ছেড়ে যায়। কোথায় থাকবেন : মেহেরপুর শহরে থাকার জন্য মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। সাতক্ষীরার দর্শনীয় স্থান সুন্দরবন, ভোমরা স্থল বন্দর বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে থাকে। এ ছাড়া শ্যামনগরের বংশীপুর, শাহী মসজিদ, ঈশ্বরীপুরের যশোরেশ্বরী মন্দির, হাম্মামখানা, জমিদার বাড়ি, মৌতলাব জাহাজঘাটা নৌদুর্গ, দেবহাটার নীলকুঠি, সাতক্ষীরার নবরতœ মন্দির, কালিগঞ্জের খানবাহাদুর আহলান উল্লাহর সুদৃশ্য মাজারসহ এ জেলার অসংখ্য প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন রয়েছে। বিখ্যাত খাবারের নাম খাদ্যদ্রব্য হিসেবে সাতক্ষীরার চিংড়ি মাছ সন্দেশ, বিলাতিকুল, ওল এবং ঘোলের অনেক সুনাম আছে সারা দেশে নদী সমূহ মুনা, ইছামতি, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া সোনাই, বেতনা, রায়মঙ্গল, মরিচচাপ বরিশাল বিভাগ বরিশাল ভাবলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে দিগদিগন্ত বিস্তৃত অসংখ্য নদী-নালা খাল-বিল। কথায় বলে, ধান-নদী-খালÑএই তিনে বরিশাল। পুরো বরিশালজুড়েই নদীর শাসন। বরিশালের দর্শনীয় স্থান এখানে দেখতে পাবেন প্রাচীন বাংলার খ্যাতিমান চারণকবি মুকুন্দ দাশের স্মরণে নির্মিত একটি কালীমন্দির। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের বাড়ি, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মহিমাময় স্মৃতি এবং কীর্তিকে ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘর, সব শ্রেণীর মানুষের নয়নমন কাড়া দুর্গাসাগর দীঘি। এগুলো ছাড়াও শহর এবং আশপাশে বেড়ানোর মতো বেশ কিছু স্পট রয়েছে। যেমনÑকালিজিরা ব্রিজ, ক্যাডেট কলেজ, লিচু শাহের মাজার, বিমানবন্দর, পদ্মপুকুর, অমৃত লাল দে কলেজ ইত্যাদি। এছাড়া বরিশালে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বিখ্যাত খাবারের নামনিতাইয়ের কাঁচা গোল্লা (বরিশাল)বরিশালের নারকেল নাড়ু,আমড়া,বরিশালের শশী মিষ্টি নদী সমূহ কিভাবে যাবেন : বাসযোগে বরিশাল গেলে সাকুরা, দ্রুতি, হানিফ কিংবা ইংলিশ পরিবহন নির্ভরযোগ্য বাহন। নৌপথে গেলে পারাবাত, দ্বীপরাজ, সুন্দরবন, সাগর, সুরভি ইত্যাদিতে যাওয়া যায়। কোথায় থাকবেন : রাত কাটানোর জন্য বরিশালে বেশকিছু হোটেল রয়েছে। যেমন হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল পুনম, হোটেল দিদার, হোটেল গুলবাগ, হোটেল নূপুর, হোটেল ইম্পেরিয়াল ইত্যাদি। বরগুনার দর্শনীয় স্থান বিষখালী ও পায়রা নদীর মোহনায় জেগে উঠেছে ছোট্ট অথচ সুন্দর একটি দ্বীপÑহরিণবাড়িয়ার চর। এ এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণের দেখা মেলে। ঠাকুরপাড়ায় রয়েছে রাখাইন সম্প্রদায় অধ্যুষিত রাখাইনপাড়া। আনুমানিক দু”শ বছর আগে রাখাইনরা এখানে এসে আবাসন গড়ে তোলে। বরগুনায় আরও রয়েছে তালতলীর বৌদ্ধমন্দির, বেতাগীর বিবিচিনি মসজিদ, ছাতনাপাড়ার বৌদ্ধমঠ ও প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তি। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর কীভাবে যাবেন : নদীপথ এবং সড়কপথÑউভয়ভাবেই বরগুনা যাওয়া যায়। নদীপথে যাওয়ার সুবিধা হচ্ছেÑনদী এবং বিভিন্ন নৌযানের চলাচল দেখতে পাওয়া যায়। সড়কপথে যাওয়ার জন্য রয়েছেÑঈগল পরিবহন, দ্রুতি ও বিআরটিসির বাস। কোথায় থাকবেন : রাতযাপন করার জন্য বরগুনায় রয়েছে বেশকিছু আবাসিক হোটেল। তার মধ্যে উলেখযোগ্যÑহোটেল আলম ও হোটেল তাজবিন। ভোলার দর্শনীয় স্থান চরের সমারোহ চরফ্যাশনে। এ জায়গার নামেও তেমন আগাম আভাস পাওয়া যায়। অনুপম সৌন্দর্য খেলা করে দণিাঞ্চলে। এখানকার চরগুলো হচ্ছেÑলক্ষ্মীপী, চরফকিরা, মেঘভাসান, আইচা, লেতরা, নীলকমল, কচ্ছপিয়া, চরমঙ্গল, চরকিশোর, মায়ারচর। দৌলতখানে রয়েছে কালা রায়ের বিশালাকৃতির দোতলা দালান, দীঘি, স্মৃতিমঠ, সীমানাপ্রাচীর ইত্যাদি। বোরহানউদ্দিনের দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছেÑবোরহানউদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি, কুতুবা, গঙ্গাপুর, থামাননগর, বড়মানিকা, পাকাশিয়া, দেউলা, কাচিয়া, সাচড়া ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নামনারিকেল, মহিষের দুধের দই নদী সমূহ কিভাবে যাবেন : দু’ভাবে ভোলা যাওয়া যায়। সড়কপথে লক্ষ্মীপুরের মৌজারহাট এসে সেখান থেকে নদীপথে অথবা সরাসরি ঢাকার সদরঘাট থেকে নৌপথে। কোথায় থাকবেন : ভোলায় বেশকিছু হোটেল রয়েছেÑশীশমহল, হোটেল জাহান, হাবিব, গোল্ডেন পাজা, রয়েল, নিরালা, আহমদ ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি। পিরোজপৃর দর্র্শনীয় স্থান রায়েরকাঠী জমিদার বাড়িঃ ৮০ একর জমির ওপর বাড়িটি। সতেরো শতকে নির্মিত। মহারাজ কিংকর রায় ছিলেন বারো ভূঁইয়াদের একজন। তাঁরই বংশধর রাজা রুদ্র নারায়ণ রায় স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ১৬৫৮ সালে বাড়িটি তৈরি করেন। জেলা সদরের পুলিশ লাইনস সড়কে বাড়িটি অবস্থিত। বাড়িসংলগ্ন শিবমন্দিরে ৪০ মণ ওজনের একটি শিবলিঙ্গ আছে। সদর বাসস্ট্যান্ড থেকে জমিদারবাড়ি দুই কিলোমিটার। রিকশায় ভাড়া লাগে ১৫ টাকা। বলেশ্বর ঘাট শহীদ স্মৃতিস্তভ: পিরোজপুর শহরের পশ্চিম পাশ্বে বলেশ্বর নদীর তীরে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পিরোজপুরের আদূরে চালিতাখালী গ্রাম নাগরপুর জমিদারবাড়ি : পেয়ারা বাজার: দক্ষিণাঞ্চলের আপেল হিসেবে পেয়ারা বেশ পরিচিত। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী দেশের ৮০ ভাগ পেয়ারা এ অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। নদী সমূহ কীভাবে যাবেন ঃ পিরোজপৃর যেতে হলে ঢাকা থেকে পিরোজপুরের যে কোনও বাসে চড়ে অথবা নদী পথে পিরোজপৃর যেতে পারেন। ঝালকাঠি র দর্র্শনীয় স্থান রাজাপুর সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি : রাজাপুর- পিরোজপুর মহাসড়কের বেকুটিয়া ফেরিঘাটের কিছু পূর্বে সাতুরিয়া গ্রামের জমিদার বাড়ির মাতুলালয়ে বাংলার বাঘের জন্ম। কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ী গাবখান সেতু :৫ম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু। যেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গাবখান চ্যানেলের উপর দিয়ে। নেছারাবাদ কমপ্লেক্স : সিদ্ধকাঠি জমিদার বাড়ী কামিনী রায় /যামিনী সেনের বাড়ি : স্বনামধন্য কবি কামিনী রায়ের পৈত্রিক বাড়ি বাসন্ডা গ্রামে। পৈত্রিক ভবনের ধ্বংসাবশেষ আছে। কামিনী রায় প্রথম মহিলা স্নাতক। কামিনী রায়ের বোন যামিনী সেন প্রথম মহিলা ডাক্তার। নদী সমূহ সন্ধা, সুগন্ধা নদী, বিশখালী নদী এবং গাবখাননদী কীভাবে যাবেন ঃ ঝালকাঠি যেতে হলে বাস এবং স্টিমার করে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যেতে পারেন। পটুয়াখালীর দর্র্শনীয় স্থান শুধুমাত্র নদী কিংবা সবুজ প্রকৃতি দিয়েই নয়, পটুয়াখালী যথেষ্ট সমৃদ্ধ প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনেও। এ জেলায় রয়েছে নূরানপুর রাজবাড়ি, রতনদীর গুরিন্দা মসজিদ, সুতাবাড়িয়া দয়াময়ী মন্দির, শ্রীরামপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, শাহী মসজিদ, মদনপুরা সিকদারবাড়ি, অন্ধকূপ, ডোল সমুদ্রের দীঘি, সিকদারিয়া জামে মসজিদ, কবিরাজবাড়ি দীঘি, কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহার, কমলরানীর দীঘি, সুলতান ফকিরের মাজার ইত্যাদি। পটুয়াখালীর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। কুয়াকাটা কারও কাছে সাগরকন্যা। কুয়াকাটায় রয়েছে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। সোনারচর সৈকত ,জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর পূর্বদিকে উঁচু টিলার ওপর রয়েছে একটি বৌদ্ধমন্দির। মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে অষ্ট ধাতুর নির্মিত সাঁইত্রিশ মণ ওজনের ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধমূর্তি। কুয়াকাটার ২ কিলোমিটার পশ্চিমে শুঁটকিপট্টি। কুয়াকাটায় রয়েছে রাখাইনদের মার্কেট। নদী সমূহ কীভাবে যাবেন ঃ পটুয়াখালী যেতে হলে ঢাকা থেকে বরিশালের যে কোনও বাসে চড়ে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী যেতে পারেন। ভোলার দর্র্শনীয় স্থান ওয়ান্ডার কিংডম ভোলা জেলা অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হলেও এখানে বানিজ্যিকভাবে তেমন কোন পার্ক বা চিত্তবিনোদনের তমন কোন ব্যবস্থা নেই।তবে সম্প্রতি ওয়ান্ডার কিংডম নামক নামে একটি পার্ক স্থাপিত হয়েছে ভোলা সদরের চরনোয়াবাদ এলাকায়। মনপুরা দ্বীপ জমিদার বাড়ি: জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও অনেক জমিদার বাড়ি সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। যেমন_ মানিকা মিয়া বাড়ি, কুতুবা মিয়া বাড়ি, দেউলা তালুকদার বাড়ি, পরান তালুকদার বাড়ি, রজনী করের বাড়ি ইত্যাদি মহিষের বাথানের: ভোলা মহিষের বাথানের জন্য বিখ্যাত। ভোলার বিভিন্ন চরে অর্ধশতাধিক মহিষের বাথান আছে। এসব বাথান থেকে প্রতিদিন শত শত কেজি দুধ উৎপাদিত হয় এ
সূত্র: ফেজবুক (কপি পোষ্ট)
ঢাকা বিভাগ ঢাকার দর্শনীয় স্থান চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত ঢাকা চিড়িয়াখানায় আছে বাংলাদেশী সব পশুপাখি। অনেক দুর্লভ প্রজাতির সব প্রাণী দেখতে পাওয়া যাবে এখানে। প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন ঢাকার মিরপুর চিড়িয়াখানা সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেন গাছগাছালিতে সমৃদ্ধ। এখানে প্রায় ১৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানে ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলের বহু কৃষিজ, জলজ ও শোভাময় উদ্ভিদ। প্রবেশ মূল্য : পাঁচ টাকা। বলধা গার্ডেন ঢাকার ওয়ারীতে অবস্থিত বলধা গার্ডেন। নিসর্গী ও দর্শকদের জন্য বলধা গার্ডেন অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান এবং উপমহাদেশের এতদঞ্চলের ফুলের শোভা উপভোগের অন্যতম প্রখ্যাত ও ঐতিহাসিক উদ্যান। এটি প্রতিদিন খোলা থাকে। প্রবেশ মূল্য পাঁচ টাকা। অনূর্ধ্ব ১০ বছরের শিশুদের েেত্র প্রবেশমূল্য দুই টাকা। রমনা পার্ক নিসর্গপ্রেমীদের জন্য রমনা অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান। শহরের মূল কেন্দ্রে এর অবস্থান। শহরের বুকে এমন প্রকৃতি উপভোগের অন্যতম প্রখ্যাত ও ঐতিহাসিক উদ্যান আর নেই। পার্কে প্রবেশের কোনও রকম প্রবেশ ফি লাগে না। আহসান মঞ্জিল জাদুঘর পুরনো ঢাকার সদরঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল। প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০ টাকা। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ৫০ টাকা। কার্জন হল কার্জন হল ঢাকাতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ভবন, যা পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০৪ সালে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় এবং গভর্নর জেনারেল জর্জ কার্জন এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বর্তমানে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান অনুষদের কিছু শ্রেণীক ও পরীার হল হিসেবে ব্যবহƒত হচ্ছে। জাতীয় জাদুঘর ঢাকার শাহবাগে গেলে যে জিনিসটি আপনার সবার আগে নজরে পড়বে তা হল জাতীয় জাদুঘর। এর প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নভোথিয়েটার বিজয় সরণিতে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নভোথিয়েটার। এখানে দেখা যাবে আকাশ, নত্র, তারকারাজির উজ্জ্বল উপস্থিতি। প্রদর্শনী শুরু হয় সকালের প্রদর্শনীর এক ঘণ্টা আগে এবং অন্যান্য প্রদর্শনীর দুই ঘণ্টা আগে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। এখানে একই সময়ে ক্যাপসুল রাইড সিমুলেটরে ২০ টাকায় চড়া যাবে। সর্বোচ্চ ৩০ জন ধারণমতা সম্পন্ন এই রাইডে আপনিও চড়তে পারেন। টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। শহীদ জিয়া শিশু পার্ক শহীদ জিয়া শিশু পার্ক শাহবাগে অবস্থিত। সাপ্তাহিক বন্ধ রোববার। প্রতিটি রাইডে চড়ার জন্য মাথাপিছু ছয় টাকার টিকিট দরকার হয়। জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাভারে অবস্থিত আমাদের অহংকার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে ঢাকার সাভারে। যেভাবে যাবেন ঢাকায় বেড়াতে এসে যোগাযোগ করে নিতে পারেন নির্ধারিত তথ্যকেন্দ্র থেকে। প্রতিটি জায়গায় বাস, সিএনজি, রিকশা চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জের দর্শনীয় স্থান বাংলার তাজমহল ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের পেরাবে গড়ে উঠেছে বাংলার তাজমহল। এই তাজমহল দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সোনারগাঁওয়ের পেরাবে। এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা। দেখতে পাবেন আগ্রার তাজমহলের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে বাংলার তাজমহলটি। সোনারগাঁ জাদুঘর ঢাকার ঐতিহাসিক নগরী সোনারগাঁ। বাংলার এক সময়ের রাজধানী এই সোনারগাঁয়ে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর। লোকশিল্প জাদুঘর সোনারগাঁয়ের পানামে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্বপ্নে গড়া লোকশিল্প জাদুঘর। রূপগঞ্জ রাজবাড়ি ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মধ্যেখানেই রূপগঞ্জ। সেখানে আছে প্রায় শতবর্ষী রাজবাড়ি। অপূর্ব এই রাজবাড়ীর কারুকার্যমন্ডিত সৌন্দর্য দৃষ্টিনন্দন। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ শীতলক্ষ্যা, মেঘনা, পুরাতন ব্রক্ষপুত্র, বুড়িগঙ্গা, বালু এবং ধলেশ্বরী নদী যেভাবে যাবেন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে অথবা গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র যাবার বাস আছে। মুন্সিগঞ্জের দর্শনীয় স্থান ইদ্রাকপুর দুর্গ মুন্সীগঞ্জ ডাক বাংলোর পাশেই এ দুর্গটি অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে ফেরি পার হয়ে অল্প সময়েই পৌঁছা যায় মুন্সীগঞ্জ। গুলিস্তান থেকে এসব গাড়ি ছাড়ে। বিখ্যাত খাবারের নামসিরাজদিখানের পাতক্ষীরা নদী সমূহ পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি নদী যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে সড়কপথে অল্প সময়েই পৌঁছা যায় মুন্সিগঞ্জ। গুলিস্তান থেকে এসব গাড়ি ছাড়ে। মানিকগঞ্জের দর্শনীয় স্থান বালিয়াটি জমিদারবাড়ি মানিকগঞ্জে অবস্থিত বালিয়াটি জমিদারবাড়ি। নদী সমূহ পদ্মা, গঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতি, করতোয়া, বোরাসাগর তিস্তা ও ব্রক্ষ্মপুত্র যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে অনেক বাস যাতায়াত করে, ভাড়া পড়বে ৫০-৬০ টাকা। নরসিংদীর দর্শনীয় স্থান উয়ারী বটেশ্বর বাংলাদেশের প্রাচীনতম বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বর। লটকন বাগান: লটকন ফলের সীজনে , লটকন বাগান দেখতে যেতে পারেন নরংসিংদী ,বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের লাখপুর বিখ্যাত খাবারের নামসাগর কলা নদী সমূহ মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়ালখাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র যেভাবে যাবেন এখানে যেতে হলে আপনাকে সায়েদাবাদ থেকে সরাসরি বেলাবোর বাসে যেতে পারবেন। গাজীপুরের দর্শনীয় স্থান ভাওয়াল রাজবাড়ি; গাজীপুর সদরে অবস্থিত প্রাচীন এ রাজবাড়িটি। সুরম্য এ ভবনটিতে ছোট বড় মিলে প্রায় ৩৬০টি কক্ষ আছে। বর্তমানে এটি জেলাপরিষদ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান : গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর থানা জুড়ে অবস্থিত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। পৃথিবীর অন্যান্য জাতীয় উদ্যানের আদলে ৬৪৭৭ হেক্টর জমিতে ১৯৭৩ সালে এ উদ্যান সরকারি ভাবে গড়ে তোলা হয়। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বেশ কয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র, ১৩টি কটেজ ও ৬টি রেস্ট হাউস আছে। উদ্যানে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৬ টাকা। সফিপুর আনসার একাডেমি : জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমির বিশাল চত্ত্বর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত যায়গা। অনুমতি সাপেক্ষে বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে এখানে জাগ্রত চৌরঙ্গী গাজীপুর শহরের বেশ কিছুটা আগে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রথম স্মারক ভাস্কর্য “জাগ্রত চৌরঙ্গী”। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সংঘটিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে শহীদ হুরমত আলীসহ অন্যান্য শহীদদের স্মরণে ১৯৭১ সালেই নির্মিত হয় হয় এ ভাস্কর্যটি। এর স্থপতি আব্দুর রাজ্জাক। ভাস্কর্যটির উচ্চতা প্রায় একশো ফুট। আর এর দু “পাশে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১১ নং সেক্টরের ১০৭ জন এবং ৩নং সেক্টরের ১০০ জন শহীদ সৈনিকের নাম খোদাই করা আছে। ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী: ভাওয়াল রাজবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে মৃতপ্রায় চিলাই নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী। এটি ছিল ভাওয়াল রাজ পরিবার সদস্যদের সবদাহের স্থান। প্রাচীন একটি মন্দির ছাড়াও এখানে একটি সমাধিসৌধ আছে। সফিপুর আনসার একাডেমি :জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমির বিশাল চত্ত্বর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত যায়গা। অনুমতি সাপেক্ষে বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে এখানে। আরো আছে নন্দন পার্ক,বলধার জমিদার বাড়ী,বাড়ীয়া;৩পূবাইল জমিদার বাড়ী,পূবাইল,বলিয়াদী জমিদার বাড়ী ইত্যাদি নদী সমূহ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ,শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বংশী, বালু, বানার, গারগারা ও চিলাই কিভাবে যাবেন :ঢাকা থেকে গাজীপুর যেতে পারেন রেল ও সড়ক পথে। ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী প্রায় সব আন্তঃনগর, কমিউটার, মেইল ট্রেনে চড়ে আসতে পারেন গাজীপুর। এছাড়া ঢাকার কাঁচপুর ও যাত্রাবাড়ী থেকে ট্রান্স সিলভা, অনাবিল, ছালছাবিল পরিবহন, লোহারপুল থেকে রাহবার পরিবহন, মতিঝিল থেকে গাজীপুর পরিবহন, ভাওয়াল পরিবহন, অনিক পরিবহন, সদরঘাট থেকে আজমিরি, স্কাইলাইন পরিবহন, গুলিস্তান থেকে প্রভাতী বনশ্রী কোথায় থাকবেন : ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে দিনেই শেষ করা সম্ভব গাজীপুর ভ্রমণ। । কিছূ আবসিক হোটেল হলো হোটেল আল মদিনা, থানা রোডে হোটেল মডার্ণ, কোনাবাড়িতে হোটেল ড্রীমল্যান্ড ইত্যাদি কিশোরগঞ্জ দর্শনীয় স্থান ঐতিহাসিক জঙ্গলবাড়ী ঃ ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী: কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিঃ মিঃ পূর্বে করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে জঙ্গলবাড়ীর অবস্থান দিল্লীর আখড়া : মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত। এগারসিন্দুর দুর্গ কিশোরগঞ্জ :লাল মাটি, সবুজ গাছগাছালি আর ঐতিহাসিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ এগারসিন্দুর। এটি ছিল ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুর। শোলাকিয়া ঈদগাহ: এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ হিসেবে শোলাকিয়া ঈদগাহ সর্বজন বিদিত।কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বপ্রান্তে প্রায় ৬.৬১ একর জমিতে অবস্থিত। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু (ভৈরব সেতু) ও হাওর অঞ্চল বিখ্যাত খাবারের নামকিশোরগঞ্জের তালরসের পিঠা ( চিনির শিরায় ভেজানো)মালাইকারি। ঠিকানা- মদন গোপালের মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, গৌরাঙ্গবাজার, কিশোরগঞ্জ,ভৈরবের নকশী পিঠা , নদী সমূহ ব্রহ্মপুত্র নদ, মেঘনা, ধনু, ঘোড়াউত্রা, বাউলাই, নরসুন্দা, মগরা, বারুনী, চিনাই, সিংগুয়া, সূতী, আড়িয়ালখাঁ, ফুলেশ্বরী, সোয়াইজানী, কালী নদী কুলা নদী ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান কাজী নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত ত্রিশাল : নজরুল স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা। ময়মনসিংহ শহর থেকে চল্লিশ মিনিটের পথ। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এ অঞ্চলে নজরুল স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোকে নজরুল পর্যটন নিদর্শন হিসেবে ঘোষণা করেছে। শিমলা দারোগা বাড়ি : কাজীর শিমলা দারোগা বাড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহের মূল্যবান সম্পদ। এখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ইসলাম এদেশে প্রথম পদার্পণ ঘটেছিল। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা : ময়মনসিংহ শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাহেব কোয়ার্টার নলিনী রঞ্জন সরকারের বাড়িতে এ সংগ্রহশালাটি অবস্থিত। ময়মনসিংহ বোটানিক্যাল গার্ডেন : বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে ৩ টাকা মূল্যের টিকিট কিনে প্রবেশ করতে হবে। পার্ক ঘেঁষে ব্রহ্মপুত্র নদ এ শহরের দর্শনীয় ভবনাদির মধ্যে অন্যতম হাসান মঞ্জিল। শহরে এটি একমাত্র ভবন, যা মুসলিম স্থাপত্যকর্মের অনুপম নিদর্শন। এছাড়া রয়েছে গফরগাঁও উপজেলার ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার, ওলি-আল্লাহর মাজার, ধোবাউড়া উপজেলার দর্শা গ্রামে মোগল আমলের পাকা মসজিদ ও মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি। এছাড়াও ময়মনসিংহ জাদুঘর, সোমেশ্বর বাবুর রাজবাড়ি, কিশোর রায় চৌধুরীর ভবন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আলেক জান্ডার ক্যাসেল,আনন্দ মোহন কলেজ, দুর্গাবাড়ী, কেল্লা তাজপুর ইত্যাদি। গারোগ্রাম আচ্কীপাড়া হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ , হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ১ নম্বর ভুবনকুড়া ইউনিয়নের এক সবুজ ছায়াঘেরা গ্রাম আচ্কীপাড়া। বিখ্যাত খাবারের নামমুক্তাগাছার মণ্ডা, ময়মনসিংহের আমিরতি,দয়াময়ী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের খেজুর গুরের সন্দেশ ( ময়মনসিংহ ),জয়কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ছানার পোলাও ( ময়মনসিংহ ) নদী সমূহ রহ্মপুত্র, সুতিয়া, ক্ষিরু, সাচালিয়া, পাগারিয়া, নাগেশ্বর, কাচাঁমাটিয়া, আয়মন, বানার, নরসুন্দা, বোরাঘাট, দর্শনা, রামখালী, বৈলারি, নিতাই, কংশ, ঘুঘুটিয়া, সাতারখালী, আকালিয়া, জলবুরুঙ্গা, চৌকা মরানদী, রাংসা নদী কীভাবে যাবেন : মহাখালী থেকে নিরাপদ কিংবা সৌখিন পরিহনের বাস ২০ মিনিট পরপর ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ঢাকা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার ময়মনসিংহ। ঢাকা থেকে সময় লাগে ঘণ্টা তিনেক। বাসের ভাড়া পড়বে ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, ময়মনসিংহ হয়ে বাস যাতায়াত করে। ইচ্ছা করলে সেই বাসে চড়ে যাওয়া যায়। থাকার জন্য আবাসিক-অনাবাসিক হোটেল রয়েছে। ঘুরতে চাইলে জেলা শহর থেকে সিএনজি কিংবা লোকাল বাসে ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে আসতে পারেন। টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান রসনা বিলাসীদের জন্য উপভোগ্য সুস্বাদু চমচম, বাঙালী রমণীদের জন্য পরম আকর্ষণীয় তাঁতের শাড়ির জন্য টাঙ্গাইল জেলা দেশে বিদেশে সুপরিচিত। আতিয়া মসজিদ ,শাহ্ আদম কাশ্মিরির মাজার- দেলদুয়ার পরীর দালান, খামার পাড়া মসজিদ ও মাজার - গোপালপুর ঝরোকা , সাগরদিঘি ,গুপ্তবৃন্দাবন ,পাকুটিয়া আশ্রম ,ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ী ,ধলাপাড়া মসজিদ -ঘাটাইল ভারতেশ্বরী হোমস্, মহেড়া জমিদার বাড়ী/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার , মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ,পাকুল্লা মসজিদ:,কুমুদিনী নার্সিং স্কুল/ কলেজ- মির্জাপুর নাগরপুর জমিদার বাড়ি,পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল , উপেন্দ্র সরোব,গয়হাটার মট,তেবাড়িয়া জামে মসজিদ,,পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী ইত্যাদি- নাগরপুর বঙ্গবন্ধু সেতু ,এলেঙ্গা রিসোর্ট ,যমুনা রিসোর্ট , কাদিমহামজানি মসজিদ - কালিহাতী ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি,সন্তোষ,করটিয়া সা’দত কলেজ, কুমুদিনী সরকারী কলেজ,বিন্দুবাসিনীবিদ্যালয় ইত্যাদি - টাঙ্গাইল সদর,মধুপুর জাতীয় উদ্যান ,দোখলা ভিআইপ রেষ্ট হাউজ , পীরগাছা রাবার বাগান ইত্যাদি- মধুপুর ভূঞাপুরের নীলকুঠি , শিয়ালকোল বন্দর ইত্যাদি - ভূঞাপুর,ধনবাড়ি মসজিদ ও নবাব প্যালেস - ধনবাড়ি নথখোলা স্মৃতিসৌধ, বাসুলিয়া, রায়বাড়ী ইত্যাদি - বাসাইল,কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ,মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ - সখিপুর নদী সমূহ যমুনা, ধলেশ্বরী, বংশী, লৌহজং, খিরু, যুগনী,ফটিকজানি,এলংজানি, লাঙ্গুলিয়া, ঝিনাই বিখ্যাত খাবারের নামটাঙ্গাইলের চমচম শেরপুরের দর্শনীয় স্থান মধুটিলা ইকোপার্ক: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পাহাড়ঘেরা পরিবেশে স্থাপিত দেশের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্ক। এখানে আছে ওয়াচ টাওয়ার , শিশুপার্ক , ক্যান্টিন, তথ্যকেন্দ্র ,ডিসপ্লে মডেল, গোলাপ বাগান, মিনি চিড়িয়াখানা , বিভিন্ন প্রাণীর ভস্কর্য , কৃত্রিম লেক, ষ্টার ব্রীজ , পেডেল বোট , স্টেপিং সিড়ি শেরপুরের গজনী ইকো পার্ক : ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ। লালমাটির উচু-নিচু,পাহাড়,টিলা, পাহাড়ী টিলার মাঝে সমতল ভূমি। দুই পাহাড়ের মাঝে পাহাড়ী ঝর্ণা একে বেঁকে এগিয়ে চলছে। ঝর্ণার পানি এসে ফুলেফেপে উঠছে। সেখানে বাধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম লেক। লেকের মাঝে কৃত্রিম পাহাড় এবং পাহাড়ের উপর “লেক ভিউপেন্টাগন” বিখ্যাত খাবারের নামশেরপুরের (জামালপুর) ছানার পায়েস, ছানার পোলাও নদী সমূহ ব্রহ্মপুত্র,ভোগাই, নিতাই, কংশ, সোমেশ্বরী, মহারশ্মি ,মালিঝি কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে যাতায়াতই সবচেয়ে উত্তম। উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল ুজামালপুর হয়েও আসতে পারেন সড়ক পথে কিংবা রেল পথে জামালপুর পর্যন্ত তার পর জামালপুর থেকে সড়ক পথে আসতে পারেন। শেরপুর শহর থেকে গজনীর দুরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সরাসরি মাইক্রো বাস অথবা প্রাইভেটকারে গজনী অবকাশ যেতে পারেন। ঢাকা থেকে নিজস্ব বাহনে মাত্র সাড়েতিন থেকে চার ঘন্টায় ঝিনাইগাতীর গজনী আসা যায়। এ ছাড়া ঢাকার মহাখালি থেকে ড্রিমল্যান্ড বাসে শেরপুর আসা যায়। কোথায় থাকবেন : শহরে রাতযাপনের জন্য ৫০ থেকে ৫শত টাকায় গেষ্ট হাউজ রোম ভাড়া পাওয়া যায়। শহরের রঘুনাথ বাজারে হোটেল সম্পদ, বুলবুল সড়কে কাকলী ও বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, নয়ানী বাজারে ভবানী প্লাজা, বটতলায় আধুনিক মানের থাকার হোটেল রয়েছে। এ জামালপুরের দর্শনীয় স্থান গারো পাহাড়ের পাদদেশে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত বাংলাদেশের ২০তম জেলা জামালপুর,দেওয়ানগঞ্জের সুগার মিলস লাউচাপড়া পিকনিক স্পটঃ জায়গাটি জামালপুর জেলার অধীনে হলেও যাওয়ার সহজপথ হলো শেরপুর হয়ে। ঢাকা থেকে সরাসরি শেরপুরে যায় ড্রীমল্যান্ড পরিবহনের বাস। ভাড়া ১১০ টাকা। ড্রীমল্যান্ড স্পেশালে ভাড়া ১৪০ টাকা। শেরপুর থেকে বাসে বকশীগঞ্জের ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা গান্ধি আশ্রমঃ মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাস হাটিয়া গ্রামে গান্ধি আশ্রম কেন্দ্র রয়েছে। দারকি : দারকি গ্রাম ইসলামপুর :মাছ ধরার বিশেষ এক ধরনের ফাঁদের নাম “দারকি”। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার হাতিজা গ্রামের নাম বদলে দিয়েছে এই দারকি। যমুনা ফার্টিলাইজার , বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঝিনাই নেত্রকোনার দর্শনীয় স্থান গারো পাহাড়ের পাদদেশ লেহন করে এঁকেবেঁকে কংশ, সোমেশ্বরী নদীসহ অন্যান্য শাখা নদী নিয়ে বর্তমান নেত্রকোণা জেলা , বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক দৃশ্য, দূর্গাপুর,রানীখং মিশন, দূর্গাপুর,টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ, দূর্গাপুর,কমলা রাণী দিঘীর ইতিহাস, দূর্গাপুর,সাত শহীদের মাজার, কলমাকান্দা,হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রাঃ)-এঁর মাজার শরীফ, নেত্রকোণা সদর,রোয়াইল বাড়ি কেন্দুয়া কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরায় মুক্তিযুদ্ধে সাত শহীদের মাজার, চেংনি ও গোবিন্দপুরে পাহাড়ের নৈসর্গিক প্রকৃতি ও পাগলা কৈলাটির কালা চানশাহের মাজার, দুর্গাপুর বিজয়পুরের চিনামাটির পাহাড়, গারো পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য, টংক আন্দোলনের জন্য খ্যাত হাজংমাতা রাশিমনি স্মৃতিসৌধ, রানীখং মিশন টিলায় ক্যাথলিক গির্জা, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী, কমলা রানীর দীঘি, বাউরতলা গ্রামের কথিত নইদ্যা ঠাকুরের ভিটা বিজয়পুরে দেশের সর্ববৃহৎ চীনামাটির খনি, বিরিশিরি উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী রানীখং পাহাড়ি টিলার ওপর অপরূপ শোভামণ্ডিত বাংলাদেশের সর্বপ্রথম খ্রিস্টান ক্যাথলিক গির্জা, হাজং মাতা রাশিমনি হাজংয়ের স্মৃতিসৌধসহ আদিবাসীদের আতিথেয়তা পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো। বিখ্যাত খাবারের নামনেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি নদী সমূহ মগড়া, কংশ,সোমেশ্বরী, ধনু নদী ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭টা সাড়ে ৭টার মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর বাস ছেড়ে যায়। ভাড়া গেটলক ২০০ টাকা। শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলের মধ্যে আল নূর রাতযাপনের জন্য যথেষ্ট ভালো। ভাড়া ডাবল বেড ৩৫০ টাকা। খাওয়ার জন্য স্টেশন রোডের আলেফ খাঁর হোটেল ও বিকালের নাস্তার জন্য বড় বাজারের ইসমাইলের হোটেল। রাজবাড়ীর দর্শনীয় স্থান ১। কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কমপ্লেক্স ২। এ্যাক্রোবেটিক সেন্টার ৩। রাজবাড়ী সুইমিং পুল ৪। কুটি পাঁচুরিয়া জমিদার বাড়ী ৫। গোদার বাজার পদ্মা নদীর তীর ৬। রাজবাড়ী উদ্যান বেস নদী সমূহ পদ্মা, গড়াই, চন্দনা, চত্রা, হড়াই ও কুমার গোপালগঞ্জ দর্শনীয় স্থান বঙ্গবন্ধু সমাধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া বিলরুট ক্যানেল: মধুমতির মানিকদাহ বন্দরের নিকট থেকে উত্তর এবং উত্তর পূর্ব দিকে উরফি, ভেড়ারহাট, উলপুর, বৌলতলী, সাতপাড়, টেকেরহাট হয়ে আড়িয়াল খাঁর শাখা নদী উতরাইল বন্দরের কাছাকাছি পর্যন্ত ৬০/৬৫ কিলোমিটার র্দীঘ ক্যানেল খনন করা হয় ৭১ এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ) :মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সংলগ্ন ৭১ এর বধ্যভূমি (জয়বাংলা পুকর) মাদারীপুরের দর্শনীয় স্থান পর্বতের বাগান(মস্তফাপুর), প্রণবানন্দের মন্দির(বাজিতপুর), গণেশ পাগলের মন্দির(কদমবাড়ী), রাজারাম রায়ের বাড়ি(খালিয়া), সেনাপতির দিঘি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি(মাইজপাড়া) ,আলগী কাজি বাড়ি মসজিদ, রাজা রাম মন্দির, ঝাউদি গিরি, আউলিয়াপুর নীলকুঠি , মিঠাপুর জমিদার বাড়ি, প্রণব মঠ, বাজিতপুর, মঠের বাজার মঠ, খোয়াজপুর, খালিয়া শান্তিকেন্দ্র, পর্বতের বাগান, শকুনী লেক, সেনাপতির দিঘি বিখ্যাত খাবারের নামখেজুরের গুড়ের(পাতিগুড়) জন্য বিখ্যাত নদী : পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, কুমার, পালরদী শরিয়তপুরের দর্শনীয় স্থান ফতেহজংপুর দুর্গ, মুঘল আমলের বিলাসখান মসজিদ, মহিষের দিঘী, দক্ষিণ বালুচর মসজিদ,হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি,মানসিংহের বাড়ী। রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদ রংপুর। প্রাচীন জনপদের বরেন্দ্র অঞ্চলের অংশ এটি। সময়ের বিবর্তনে এ অঞ্চল প্রাচীন ঘোড়াঘাট, মোগল, ব্রিটিশ শাসনামলে আসে। রংপুরের দর্শনীয় স্থান রংপুরে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন নামকরা শিা প্রতিষ্ঠান কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। অপরূপ কারুকার্যখচিত এ কলেজে একটি গম্বুজও রয়েছে। আছে রাজপ্রাসাদতুল্য তাজহাট জমিদারবাড়ি। মীরগঞ্জে রয়েছে বিশাল একটি দীঘি। এখানে আরও রয়েছে লালবিবির সমাধিসৌধ, ফকিরনেতা মদিনীর কবর ও মোগল আমলের মসজিদ। পায়রাবন্দে আছে মহীয়সী বেগম রোকেয়ার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়, বেগম রোকেয়ার স্মৃতিফলক এবং রোকেয়া পরিবারের সদস্যদের ব্যবহƒত একটি শানবাঁধানো দীঘিও রয়েছে। পীরগঞ্জের চুতরাহাটের পশ্চিমে রয়েছে নীল দরিয়ার বিল। তারাগঞ্জে গেলে দেখা মিলবে তারাবিবির মসজিদের। গঙ্গাচরার কুঠিপাড়ায় নীলকুঠি। পীরগাছায় দেবী চৌধুরানীর রাজবাড়ি, ইটাকুমরার শিবেন্দ্র রায়ের রাজবাড়িটিও দেখার মতো। এছাড়াও আছে, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, শিরিন পার্ক, টিকলির বিল, খাতুনিয়া লাইব্রেরি, দমদমা ব্রিজ, পরেশনাথ মন্দির, কেরামতিয়া মসজিদ, ভিন্ন জগৎ। বিখ্যাত খাবারের নামরংপুরের সিঙ্গারা হাউজের সিঙ্গারা with সস্ নদী সমূহ তিস্তা, যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে ছাড়া বাসগুলো হচ্ছে হানিফ, কেয়া, আগমনী, নাবিল, শ্যামলী, এসআর ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : রংপুরের আবাসিক হোটেলগুলো বনফুল, জুঁই, গোল্ডেন টাওয়ার, বিজয়, রজনীগন্ধা, øিগ্ধা, মাছুম, ঢাকা হোটেল ইত্যাদি। রয়েছে পর্যটন মোটেলও। দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান দিনাজপুরে রয়েছে রাজা রামনাথের অবিস্মরণীয় কীর্তি রামসাগর দীঘি। রয়েছে কান্তজীর মন্দির যা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর মন্দির। রয়েছে প্রাচীনতম বিহার সীতাকোট, দীর্ঘ ১ মাইল লম্বা দুর্গ ঘোড়াঘাট, গোরা শহীদের মাজার, সীতার কুঠরি, সিংহদুয়ার প্রাসাদ, বারদুয়ারি, শিশুপার্ক। বিখ্যাত খাবারের নামলিচু, কাটারিভোগ চাল, চিড়া, পাপড় নদী সমূহ ঢেপা নদী,করতোয়া নদী,নাগর, মহানন্দা, ঘোড়ামারা, টাংগন, তালমা, ডাহুক, কুলিক ও পুনর্ভবা কীভাবে যাবেন : এসআর, হানিফ, শ্যামলী, কেয়ায় চড়ে দিনাজপুর যাওয়া যায়। কোথায় থাকবেন : পর্যটন মোটেল রয়েছে দিনাজপুরে। হোটেলের মধ্যে রয়েছে, আল রশীদ, নবীন, কণিকা, ডায়মন্ড, বিহানা, নিউ হোটেল ইত্যাদি। [/b]লালমনির হাটের দর্শনীয় স্থান [/b] তিস্তার পাড় তিস্তা ব্যারাজ: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে তিস্তা নদীর ওপর গড়ে তোলা হয় বাঁধ। যাকে বলা হয় তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প। দেশের বৃহত্তম ৬১৫ মিটার দীর্ঘ এ ব্যারাজে ৪৫টি গেট রয়েছে। তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম-আংগরপোতা ছিটমহল বুড়িমারী স্থল বন্দর তিস্তা রেল সেতু বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ ধরলা নদী ও দক্ষিনে তিস্তা নদী কীভাবে যাবেন : এসআর, হানিফ, শ্যামলী, কেয়া এবং রেলে চড়ে লালমনিরহাট যাওয়া যায়। ঠাকুরগাওএর দর্শনীয় স্থান জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ : ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জহাট। হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ। রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি : রানীশংকৈল উপজেলার পূর্বপ্রান্তে কুলিক নদীর তীরে মালদুয়ার জমিদার রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি। দিঘি : ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে প্রাচীনকালে বেশ কিছু নদী ও নিচু জলাভূমি ছিল। হরিণমারীর আমগাছ :প্রায় দুই বিঘা জায়গাজুড়ে শুয়ে-বসে-দাঁড়িয়ে আছে ২০০ বছরের বেশি বয়সী এক আমগাছ। মাটিতে নেমে এসেছে ১৯টি মোটা মোটা ডাল। গাছটির উচ্চতা আনুমানিক ৮০ ফুট আর ঘের ৩০ ফুট।ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে হরিণমারী। রাউতনগর সাঁওতালপল্লী রানীশংকৈল: ঠাকুরগাঁও সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রাউতনগর গ্রাম। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ টাঙ্গন নদী,ভুল্লী নদী,নাগর নদী, পঞ্চগড়ের দর্শনীয় স্থান ভিতরগড়ঃ পঞ্চগড় শহর থেকে ১০ মাইল উত্তরে বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত বরাবর পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত এই গড়। মহারাজার দিঘীঃ পঞ্চগড় শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তরে পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত একটি বড় পুকুর বর্তমানে যা মহারাজার দিঘী নামে পরিচিতি সমতল ভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা বাগান : পঞ্চগড় জেলার সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় সাম্প্রতিকালে সমতল ভূমিতে চা গাছের চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর ঃহিমালয়ের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। এই উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশ মানচিত্রের সর্বউত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর। নদী সমূহ করতোয়া, আত্রাই, তিস্তা, মহানন্দা, টাংগন, ডাহুক, পাথরাজ, ভুল্লী, তালমা, নাগর, চাওয়াই, কুরুম, ভেরসা, তিরনই ও চিলকা। কীভাবে যাবেন : সড়কপথ। তেঁতুলিয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত হানিফ এন্টারপ্রাইজ, কেয়া পরিবহন, কান্তি পরিবহন ও শ্যামলী এন্টারপ্রাইজের বাস নিয়মিত যাতায়াত করে।। সেখান থেকে বিডিআরের অনুমতি সাপেক্ষে ভ্যানযোগে জিরো পয়েন্ট দর্শন করা যায়। যাতায়াতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা খরচ হবে। কোথায় থাকবেন : তেঁতুলিয়ায় আবাসিক কোনো হোটেল না থাকায় জেলা পরিষদের প্রাচীন ডাকবাংলো ও পিকনিক কর্নার রাতযাপনের একমাত্র ভরসা। নীলফামারীর দর্শনীয় স্থান সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ, দুন্দিবাড়ী স্লুইসগেট , বাসার গেট ,নীলফামারী যাদুঘর ,নীলসাগর, হরিশচন্দ্রের পাঠ, ধর্মপালের গড়, কুন্দপুকুর মাজার, ময়নামতির দূর্গ, ভীমের মায়ের চুলা ইত্যাদি। নদী সমূহ তিস্তা, বুড়িতিস্তা, বুড়িখোড়া ও চাড়ালকাটা কুড়িগ্রামের দর্শনীয় স্থান চিলমারীর বন্দর: সাতভিটায় পাখির ভিটারাজারহাট, কুড়িগ্রাম পাখিদের কষ্ট করে ছানা বড় করতে দেখে আমির উদ্দিনের খুব মায়া হতো। তার বাড়িটিই এখন পাখিদের অভয়ারণ্য। কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৪ কি.মি. দূরে কুড়িগ্রাম-উলিপুর সড়কের পাশে আনন্দবাজার। সেখান থেকে ৩ কি.মি. উত্তরে রাজারহাট উপজেলার সাতভিটা গ্রাম। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ ব্রক্ষ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমর, ফলকুমর, নীলকমল, গঙ্গাধর, শিয়ালদহ, কালজানী, বোয়ালমারি, ধরনী, হলহলিয়া, সোনাভরি, জিঞ্জিরাম, জালছিড়া রাজশাহী বিভাগ ইতিহাস, ঐতিহ্য আর পুরাকীর্তির নিদর্শনের জন্য রাজশাহী স্মরণীয়। রাজশাহীর অঙ্গসৌষ্টবে খেলা করে সবুজশ্যামল শোভা। রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান পদ্মা তীরে নির্মিত শাহ মখদুমের স্মরণে মাজার। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট দরগাটির স্থাপত্যশৈলী অতুলনীয়। গোদাগাড়িতে রয়েছে নবাব আলীবর্দী খানের তৈরি একটি দুর্গ। পুঠিয়ায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঐতিহাসিক অনেক কীর্তির বিশালায়তনের পুঠিয়া রাজবাড়ি, শিবমন্দির, বড়কুঠি, গোবিন্দমন্দির, গোপালমন্দির, দোলমঞ্চ ইত্যাদি। এছাড়াও রাজশাহীতে দেখা যাবে লালকুঠি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শিরোইল মন্দির, বরেন্দ্র জাদুঘর, বাঘমারা রাজবাড়ি, ভুবনেশ্বর মন্দির, রাধাকৃষ্ণের ঝুলন মন্দির ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নামরাজশাহীর রসকদম,বিরেন দার সিঙ্গারা (অলকার মোড়, রাজশাহী),তিলের জিলাপি। ঠিকানা- বর্ণালীর মোড়, রাজশাহী।, বারভাজা। ঠিকানা- বাটার মোড়, রাজশাহী। নদী সমূহ পদ্মা কীভাবে যাবেন : সড়ক যোগাযোগ ভালো হওয়ায় রাজশাহী যেতে বেগ পেতে হয় না। ট্রেনেও যেতে পরেন। কোথায় থাকবেন : উলেখযোগ্য আবাসিক হোটেলগুলো হচ্ছে রজনীগন্ধা, গুলশান, মুক্তা, বসুন্ধরা, নাইস, ওয়ে হোম ইত্যাদি। চাপাইনবাবগঞ্জের দর্শনীয় স্থান দেখতে পাবেন নুসরাত শাহ্ নির্মিত সোনা মসজিদ, ঐতিহাসিক কানসাট। এছাড়াও মহানন্দা নদী পার হওয়ার পরই পথের দু’ধারে তরুণ বাহারি আমের বৃরে সারি আপনার মনে নাড়া দেবে। বিখ্যাত খাবারের নামচাঁপাইনবাবগঞ্জের কলাইএর রুটি,চাপাই নবাব গঞ্জের শিবগঞ্জের চমচম,শিবগঞ্জের (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) চমচম, প্যারা সন্দেশ। নদী সমূহ মহানন্দা কিভাবে যাবেন : দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে খুব সহজেই আসতে পারেন এখানে। যেমনÑহানিফ ন্যাশনাল, এনপি, মডার্ন, গ্রিন লাইন বাসে করে আসতে পারেন । পাবনার দর্শনীয় স্থান অনেক কারণেই পাবনা খ্যাত। পাবনায় অবস্থিত দেশের একমাত্র মানসিক হাসপাতালটি। পাবনার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান হচ্ছেÑ এডওয়ার্ড কলেজ, চাটমোহর শাহী মসজিদ, ভাঁরারা মসজিদ, কাজীপাড়া মসজিদ, জোড়াবাংলা মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, ফরিদপুর জমিদার বাড়ি, তাড়াশ জমিদার বাড়ি, দুলাই জমিদার বাড়ি, শিতলাই জমিদার বাড়ি, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন সেতু ইত্যাদি। ঈশ্বরদী ইপিজেড, নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল এবং ডাল ও আখ গবেষণা কেন্দ্র। আছে ফুরফুরা দরবার শরীফ। পাশেই পাবনা শহর, মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। সেখানে দেখতে পাবেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ি, কোর্ট বিল্ডিং, অনুকুল ঠাকুরের আশ্রাম, জোড়বাংলা, বিখ্যাত মানসিক হাসপাতাল, রায় বাহাদুরের গেট, পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক পুরনো কীর্তি। পাকশী রিসোর্ট থেকে লালন শাহের মাজারে যাওয়া যায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটে। ইচ্ছা করলে এখান থেকে শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়িতে সড়কপথ বা নদীপথেও যেতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের বসতভিটা থেকে। মুক্তিযুদ্ধকালে দেশের প্রথম স্ব্বাধীন রাজধানী মুজিবনগরেও যেতে পারেন। যেতে পারেন বনলতা সেন খ্যাত নাটোরের রাজবাড়িসহ পুঠিয়া রাজবাড়িতে শরিফা বাগানঈশ্বরদী, পাবনা জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামে বাদশার এই শরিফা বাগান। মুড়ি গ্রাম, মাহমুদপুর, পাবনা মাহমুদপুরের মুড়ি সারা দেশে মশহুর। বহু বছর ধরে মাহমুদপুরের লোকজন মুড়ি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। পাবনা শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের ছোট্ট গ্রাম মাহমুদপুর। বিখ্যাত খাবারের নামপাবনার প্যারাডাইসের প্যারা সন্দেশ,পাবনার শ্যামলের দই নদী সমূহ কিভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে বাদল, শ্যামলী, দুলকী, মহানগর ইত্যাদি বাস পাবনায় যায়। কোথায় থাকবেন : থাকা-খাওয়ার জন্য ছায়ানীড়, রোহান, প্রবাসী, ইডেন, স্টার ইত্যাদি হোটেল রয়েছে। সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদচিহ্ন পড়েছে সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুরের কাচারিবাড়িতে। সিরাজগঞ্জের বড় আকর্ষণ, যমুনা সেতু। নবগ্রামে রয়েছে প্রাচীন দুটি মসজিদ। এছাড়া রয়েছে বাণীকুঞ্জ, সিরাজীর মাজার, লোহারপুল, মক্কা আউলিয়া মসজিদ, নবরতœ ,মন্দির, শিবমন্দির জয়সাগর, মহাপুকুর আখড়া, এনায়েতপুর পীর সাহেবের মসজিদ। মিল্কভিটা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ইকোপার্ক, বাঘাবাড়ি বার্জ মাউনন্টেড বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বাঘাবাড়ি নদী বন্দর বিখ্যাত খাবারের নামসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পানিতোয়া,সিরাজগঞ্জের ধানসিঁড়ির দই। নদী সমূহ যমুনা, বড়াল, ইছামতি, করতোয়া, হুরাসাগর, গোহালা, বাঙ্গালী, গুমনী এবং ফুলঝুড়ি কীভাবে যাবেন : সিরাজগঞ্জ যাওয়ার বেশকিছু পরিবহন রয়েছে। তবে বিআরটিসিই সর্বোত্তম। কোথায় থাকবেন : আবাসিক হোটেল হচ্ছেÑ পূবালী, মনি, অনীক, মাদারবক্স, সুফিয়া, যমুনা, আজাদ গেস্ট হাউজ ইত্যাদি। নওগাঁর দর্শনীয় স্থান এখানে দেখতে পাবেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য পতিসর, ১৯২৩ সালে আবিষ্কৃত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, পতœীতলায় অবস্থিত দিব্যক স্মৃতিস্তম্ভ, নসরত শাহ নির্মিত কুশুম্বা মসজিদ। এছাড়াও রয়েছে করোনেশন থিয়েটার, অনিমেষ লাহিড়ীর বাড়ি, পালবংশের স্মৃতি বহনকারী সাঁওতালপাড়া। কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সড়কপথে নওগাঁ যাওয়া বেশকিছু বাস রয়েছে। এগুলো হচ্ছে রোজিনা, হানিফ, শ্যামলী, এসআর, কেয়া ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নামনওগাঁর রসমালাই,নওগাঁর প্যারা সন্দেশ,মহাদেবপুর উপজেলার গরম গরম স্পন্জের মিস্টি। নদী সমূহ আত্রাই, পুনর্ভবা, ছোট যমুনা, নাগর, চিরি কোথায় থাকবেন : নওগাঁয় রয়েছে বেশকিছু আবাসিক হোটেল। রাজ হোটেল, তাজ হোটেল, পাঁচভাই হোটেল, স্মরণী হোটেল, যেখানে থাকতে পারবেন। নাটোরের দর্শনীয় স্থান এখানে রয়েছে রানী ভবানীর বাড়ি, দীঘাপাতিয়া রাজবাড়ি যা উত্তরা গণভবন নামেও পরিচিত। সুদৃশ্য একটি বাগানের পাশাপাশি রয়েছে দোলমঞ্চ, সিংহদালান, মন্দির ও অট্টালিকা, ঠাকুরবাড়ি কাব, দাতব্য চিকিৎসালয়, পাওয়ার হাউস ইত্যাদি। এছাড়াও উনিশ শতকে নির্মিত কোতোয়ালি দরগা, বুড়ামাদারের দরগা, গাড়িখানা দরগা, ময়দাপট্টি দরগা, কানাইখালী দরগা। বিখ্যাত খাবারের নামনাটোরের কাচাগোল্লা নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা ও চট্টগ্রাম সড়কপথে নাটোর যাওয়া যায়। উলেখযোগ্য পরিবহনগুলো হচ্ছে হানিফ, মডার্ন, এনপি এলিগ্যান্স, ন্যাশনাল ট্রাভেলস ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : থাকার জন্য রয়েছে বেশকিছু মাঝারি মানের হোটেলÑ রাজবিহারী বোর্ডিং, রাজ বোর্ডিং, নাটোর বোর্ডিং, ক্রিসেন্ট বোর্ডিং ইত্যাদি। বগুড়ার দর্শনীয় স্থান বগুড়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হল ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়। এখানে শীলাদেবীর ঘাট, গোবিন্দভিটা দেখে অভিভূত হতে হয়। এছাড়া খুব নিকটেই আছে বেহুলা লখিন্দরের বাসর। লোহায় নির্মিত বেহুলা লখিন্দরের বাসরঘরটি এই গ্রামের দণি-পশ্চিম প্রান্তে। বিখ্যাত খাবারের নাম: বগুড়ার দই মহাস্থানের কটকটি নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে বগুড়া যাওয়ার পরিবহনগুলো হচ্ছে শ্যামলী, এসআর, হানিফ, কেয়া, গ্রিনলাইন ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : বগুড়ায় থাকার জন্য বেশকিছু হোটেল ও মোটেল রয়েছে। হোটেলগুলো হচ্ছেÑ হোটেল হক, আকবরিয়া, পাঁচতারা, আলমাস, মনোয়ারা হোটেল ইত্যাদি। জয়পুরহাট র দর্শনীয় স্থান আছরাঙ্গা দিঘি :জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের রসুলপুরে প্রায় সাড়ে ২৫ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত ঐতিহাসিক আছরাঙ্গা দিঘি। শামুকখোল গ্রামক্ষেতলাল, জয়পুরহাট শামুকখোল সহজলভ্য পাখি নয়। এই পাখি বাসা বেঁধেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর সাখিদারপাড়া গ্রামে। গ্রামবাসী বলল, সংখ্যায় হাজার ছাড়াবে। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ চট্রগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশে ভ্রমণ আর চট্রগ্রাম যেন এক সুতোয় গাঁথা। পাহাড়ি অঞ্চল বলে কথা। বেড়ানো বা ভ্রমণ মানেই যেন চট্টগ্রাম! স্রষ্টা অকৃপণ হাতে সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থান চট্টগ্রামের মূল শহরে প্রবেশের পথে বাসে বসেই দেখতে পাবেন সীতাকুণ্ড। এখানে বৌদ্ধমন্দিরে গৌতম বুদ্ধের পায়ের ছাপ রয়েছে। দেখতে পারেন বারো আউলিয়ার মাজার, মিলিটারি একাডেমি, হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে পুরনো ও সুবিশাল তীর্থস্থান কৈবল্যধাম, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, এশিয়া মহাদেশের দুটি জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের চট্টগ্রামে অবস্থিত জাদুঘরটি, সীতাকুণ্ড থানার চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত ইকোপার্ক, ফয়’স লেক, বাটালি পাহাড়, চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশস্থল লালদীঘি ময়দান যেখানে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলি খেলা হয়। এছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের একাংশ এখানে সমাধিত্রে ওয়ার সিমেট্রি এবং বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার। বিখ্যাত খাবারের নামচট্টগ্রাম, জিইসি মোড়ে ক্যান্ডির জিলাপি।চট্রগ্রামের মেজবানের মাংস,চিটাগাং এর মিষ্টি পান,জামানের চা (আন্দর কিল্লা),ইকবালের সন্দেশ(দেওয়ান বাজার),বোম্বাইয়াওয়ালার ক্ষীর(এনায়েত বাজার) নদী সমূহ যেভাবে যাবেন : দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকেই সরাসরি চট্টগ্রামের উদ্দেশে বাস ছাড়ে। এস আলম, সৌদিয়া, ভলবো, চ্যালেঞ্জার, দ্রুতি, ইউনিক ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : চট্টগ্রামে আবাসিক হোটেলগুলোর সিংহভাগই স্টেশন রোডে অবস্থিত। স্টেশন রোড ছাড়াও হোটেল রয়েছে নন্দনকাননে, মাদারবাড়ি, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদও অন্যান্য এলাকায়। বান্দরবানের দর্শনীয় স্থান বান্দরবানে দেখার মতো রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতÑ কেওক্রাডং ও তাজিনডং, রয়েছে প্রান্তিক লেক, রাজবাড়ি, নদী, জলপ্রপাত। আছে মেঘলা পর্যটন কমপেক্স, আকর্ষণীয় বোমাং রাজার বাড়ি। রয়েছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহীর বৌদ্ধমন্দির জাদী পাহাড়, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান জাদী পাহাড়, শঙ্খ নদী, বান্দরবানের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার ফুট উচ্চতা চিম্বুক পাহাড় । নদী সমূহ কোথায় থাকবেন : বান্দরবান শহরে রয়েছে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল। এগুলো হচ্ছেÑ গ্রিনহিল, পুরবী, হিলবার্ড, হাবিব বোর্ডিং ও বিলাকিস হোটেল, মিলনছড়ি কটেজ। রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান রাঙ্গামাটি এবং ঝুলন্ত ব্রিজ দুটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঝুলন্ত ব্রিজের অবস্থান পর্যটন কমপেক্সে। দেখতে পারেন কাপ্তাই লেক। নানা শ্রেণীর উপজাতিরÑ মুরং, বম, পাংখো, খেয়াং, বনযোগী প্রভৃতি উপজাতির বাসস্থান কাসালং । কর্ণফুলি পেপার মিল, চাকমা উপজাতি অধ্যুষিত বরকল, কাপ্তাই লেকের দ্বীপজুড়ে চাকমা রাজার বাড়ি। বিখ্যাত খাবারের নামরাঙ্গামাটির জুম রেস্তোরার বাঁশের ভেতর তৈরী খাবার। নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : দেশের প্রায় সবগুলো জেলা থেকেই রাঙ্গামাটির বাস ছাড়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে যায় অনেকগুলো পরিবহন। কোথায় থাকবেন : রাঙ্গামাটিতে রয়েছে বেশকিছু মোটেল ও হোটেল। এগুলো হচ্ছেÑ পর্যটন হলিডে কমপেক্স, হোটেল গ্রিন ক্যাসেল, সুফিয়া, মধুমতি, গোল্ডেন হিল, সৈকত, শাপলা, ডিগনেটি ইত্যাদি। খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান আর্য বনবিহার বৌদ্ধমন্দির। যেখানে রয়েছে বুদ্ধদেবের সুদৃশ্য একটি মূর্তি। আরও রয়েছে পিকনিক স্পট আলুটিলা, মং উপজাতিদের প্রধান আবাসস্থল মানিকছড়ি, রামগড়, নিবিড় অরণ্য, দুর্গম পাহাড় ও আপন খেয়ালে বয়ে চলা ঝরনাøাত (তৈদুছড়া ঝরনা)অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান দীঘিনালা, বড় বৌদ্ধমূর্তি সমৃদ্ধ শান্তিপুর অরণ্য কুটির। নদী সমূহ চিংগ্রী, মাইনি, ফেনী ও হালদা যেভাবে যাবেন : ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং দেশের বেশকিছু এলাকা থেকে খাগড়াছড়িতে বাস যাতায়াত করে। তবে নির্ভরযোগ্য পরিবহন হচ্ছেÑ সৌদিয়া, এস আলম, শান্তি পরিবহন ইত্যাদি। চট্টগ্রামের দামপাড়া, ঢাকার কমলাপুর থেকে খাগড়াছড়ির বাস ছাড়ে। কোথায় থাকবেন : খাগড়াছড়ি সদরে এবং বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আবাসিক হোটেল। এসব হোটেল অবস্থানকারীরা মুগ্ধ হবেন হোটেল কর্তৃপরে আতিথেয়তায়। কুমিলার দর্শনীয় স্থান কুমিলার উলেখযোগ্য পর্যটন স্পটগুলো হচ্ছে, বৌদ্ধ সংস্কৃতির অন্যতম তীর্থভূমি কুমিলার ময়নামতি। এছাড়াও রয়েছে ছোটখাটো টিলার সমষ্টি লালমাই পাহাড়, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিহার আনন্দবিহার, বাংলাদেশে দুটি শালবনের একটি, ধর্মসাগর নামের বিশাল একটি দীঘি, স্থাপত্যশিল্পের অনন্য নিদর্শন শাহসুজা মসজিদ অন্যতম। বিখ্যাত খাবারের নামকুমিল্লার রসমালাই নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : সড়কপথে এবং রেলপথে খুব সহজেই কুমিলা যাওয়া যায়। এশিয়ালাইন, তিশা, প্রিন্স, প্রাইম, ইত্যাদি বাস চলাচল করে। কোথায় থাকবেন : রাতযাপন করার মতো হোটেলের অভাব কুমিলায় নেই। উলেখযোগ্য কিছু হোটেল হচ্ছেÑ আবেদীন, নূরজাহান, আশিক, মেরাজ, ময়নামতি ইত্যাদি। এছাড়াও কুমিলায় রয়েছে বেশকিছু ভালোমানের রিসোর্ট। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দর্শনীয় স্থান উলচাপড়া মসজিদ, বৌদ্ধ মন্দির (দেবগ্রাম), কৈলাগড় জাঙ্গাল, নবীনগর মঠ, হরিপুর জমিদারবাড়ি ধরন্তী নৌকাঘাট দুই পাশে বিলের মাঝখান দিয়ে সড়ক। সন্ধ্যায় সূর্য ডোবা দেখতে অনেক লোক ভিড় করে। স্থানীয়রা বলে সরাইলের কঙ্বাজার। ঈদ, দশমী বা পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে এখানে লোক উপচে পড়ে। রেলস্টেশন থেকে সরাইল যাওয়া যায় অটোরিকশায়। ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। নদী সমূহ মেঘনা, তিতাস, বুড়ি এবং হাওড়া চাদপুরের দর্শনীয় স্থান সাহারপারের দিঘী, রহিমানগর, কচুয়া, চাঁদপুর। সাহেবগঞ্জ নীল কুঠি,সাহেবগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। , সাহেবগঞ্জ ফিরিঙ্গী গোলন্দাজ বণিকেরা নীল চাষের খামার হিসেবে একটি ব্যবসা কেন্দ্র ও শহর গড়ে তুলেছিল। রূপসা জমিদার বাড়ী,রূপসা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর। তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর, ভিঙ্গুলিয়া, হাইমচর, চাঁদপুর। বলাখাল জমিদার বাড়ী, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। নদী সমূহ মেঘনা,ডাকাতিয়া,ধনাগোদা কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। রয়েছে প্রবাল পাথরের ও স্বচ্ছ জলধারার ছোট দ্বীপ সেন্টমার্টিন। পাহাড়ি ঝরনা থেকে শীতল পানি প্রবাহের স্থান হিমছড়ি, বাংলাদেশের শেষ ভূখণ্ড এবং শেষ জলসীমা টেকনাফ, হরেক রকম রঙবেরঙের পাথর বেষ্টিত ইনানী সৈকত, ৯ হেক্টর অরণ্যজুড়ে গঠিত দুলাহাজরা সাফারি পার্ক, বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী, বাতিঘর কুতুবদিয়া, এখানে রয়েছে অসংখ্য বৌদ্ধ মূর্তি সমৃদ্ধ দরিয়ানগর, রহস্যময় কানারাজার সুড়ঙ্গ, বৌদ্ধধর্মের স্মৃতি বহনকারী রামু জাদুঘর। বিখ্যাত খাবারের নামপৌশির ভর্তা আইটেম, নিরিবিলির খিচুড়ি নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে খুব সহজেই বাসে করে কক্সবাজার যাওয়া যায়। রয়েছে এস আলম, সৌদিয়া, সোহাগ, গ্রিনল্যান্ড, টোকিও লাইন, শ্যামলী, গ্রিনলাইন ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : কক্সবাজারে রয়েছে বিভিন্ন মানের, মানভেদে দামের, অনেকগুলো হোটেল ও মোটেল। কিছু হোটেল সৈকত-লাগোয়া। নির্ভরযোগ্য সরকারি ও বেসরকারি হোটেল হচ্ছেÑ হোটেল শৈবাল, মোটেল প্রবাল, মোটেল উপল, লাবনী, ড্রিমল্যান্ড ইত্যাদি। নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান বাংলাদেশের দক্ষিণে মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি সুপ্রাচীন জনপদ নোয়াখালী জেলা। নোয়াখালী জেলার দক্ষিণে অবস্থিত নিঝুম দ্বীপ দর্শনীয় স্থান হিসাবে দিন দিন খ্যাতি লাভ করছে। এছাড়াও দৃষ্টি নন্দন বজরা শাহী মসজিদ, সোনাপুরে লুর্দের রাণীর গীর্জা, উপমহাদেশ খ্যাত সোনাইমুড়ির জয়াগে অবস্থিত গান্ধি আশ্রম, নোয়াখালীর উপকূলে নতুন জেগে উঠা চরে বন বিভাগের সৃজনকৃত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, মাইজদী শহরে অবস্থিত নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ , নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মাইজদী বড় দীঘি, কমলা রাণীর দীঘি, কীভাবে যাবেন : নোয়াখালী জেলায় যাতায়তের জন্য সড়ক ও রেল– এ দু’ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্হা চালু রয়েছে। তবে সড়ক যোগাযোগই প্রধান । এস আলম, সৌদিয়া, সোহাগ, কেয়া পরিবহন, শ্যামলী, গ্রিনলাইন ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নামনোয়াখালীর নারকেল নাড়– ও ম্যাড়া পিঠা, নদী সমূহ কোথায় থাকবেন : নোয়াখালীতে রয়েছে বিভিন্ন মানের, মানভেদে দামের, অনেকগুলো হোটেল হোটেল মৌচাক হোটেল লিটন,হোটেল নিজাম,হোটেল আর-ফারহান,হোটেল রয়েল,হোটেল মোবারক,সাথী আবাসিক হোটেল,হোটেল প্রিন্স আবাসিক (হাতিয়া),হোটেল সিঙ্গাপুর আবাসিক (হাতিয়া),হোটেল হংকং আবাসিক (হাতিয়া) ইত্যাদি। ফেনীর দর্শনীয় স্থান ফেনতে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সেচ প্রকল্প সোনাগাজী মুহুরী সেচ প্রকল্প। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুহুরী রেগুলেটরের চারদিকে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম জলরাশি,বনায়ন,মাছের অভয়ারণ্য, পাখির কলকাকলি,বাঁধের দুপাশে নীচ থেকে পাথর দিয়ে বাঁধানো এবং উপরদিকে দুর্বা ঘাসের পরিপাটি বিছানা । মুহুরীর জলরাশিতে নৌভ্রমণের সময় খুব কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং প্রায় ৫০ জাতের হাজার হাজার পাখির দেখা পাওয়া যায় । এছাড়া পাগলা মিঞাঁর মাজারঃ শিলুয়ার শীল পাথরঃরাজাঝীর দীঘিঃবিজয় সিংহ দীঘিঃ নদী সমূহ ফেনী, ছোট ফেনী, মুহুরী কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে খুব সহজেই বাসে এবং রেলে করে ফেনী যাওয়া যায়। বাস সাভির্স এস আলম, সৌদিয়া, সোহাগ, কেয়া পরিবহন, শ্যামলী, গ্রিনলাইন ইত্যাদি। কোথায় থাকবেন : ফেনীতে রয়েছে বিভিন্ন মানের, মানভেদে দামের, অনেকগুলো হোটেল । নির্ভরযোগ্য সরকারি ও বেসরকারি হোটেল হচ্ছেÑ হোটেল অবকাশঃ, হোটেল গাজী ইন্টারন্যাশনালঃ, হোটেল মিড নাইটঃ , সরকারী রেষ্ট হাউজসমূহঃ ইত্যাদি। লক্ষীপুর দর্শনীয় স্থান তিতা খান জামে মসজিদ, মিতা খান মসজিদ, মধু বানু মসজিদ, দায়েম শাহ মসজিদ, আব্দুল্লাহপুর জামে মসজিদ, শাহাপুর নীল কুঠি, শাহাপুর সাহেব বাড়ী , দালাল বাজার জমিদার বাড়ী, শ্রীগোবিন্দ মহাপ্রভু আখড়া, দালাল বাজার মঠ, খেয়া-সাগর-দীঘি, কমলা সুন্দরী দীঘি, রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ী, শ্যামপুর দরগা শরিফ, কচুয়া দরগা, কাঞ্চনপুর দরগা ইত্যাদি নদী সমূহ মেঘনা নদী, , দৌলতখাঁ, ভোলা, ডাকাতিয়া। সিলেট বিভাগ সিলেটকে বলা হয় পুণ্যভূমি। চায়ের রাজধানীও সিলেট। এই ছুটিতে সিলেট গিয়ে উপভোগ করুন সৌন্দর্য। সিলেটের দর্শনীয় স্থান হজরত শাহজালাল (র.) এর মাজার সিলেট শহরের কোর্ট পয়েন্ট থেকে উত্তরে জিন্দাবাজার ছাড়িয়ে কিছুটা উত্তরে এ মহান আউলিয়ার মাজার। প্রধান গেট ছাড়িয়ে একটু ভেতরে গেলেই মাজার কমপেক্স। প্রথমেই চোখে পড়বে দরগাহ মসজিদ। হজরত শাহ পরান (র.) মাজার সিলেটে আরেক পুণ্যভূমি হজরত শাহজালাল (র.) এর ভাগ্নে হজরত শাহ পরানের মাজার। শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দণি গাছের খাদিম পাড়ায় রয়েছে এ মহান ব্যক্তির মাজার। লাকাতুরা চা বাগান সিলেট শহর থেকে এয়ারপোর্ট রোড ধরে কিছু দূর এগুলেই দেখা যাবে এ চা বাগানটি। চা বাগানটি ঘুরে ভালো লাগার আবেশে মনটা ভরে যাবে কম বেশি সবার। বিখ্যাত খাবারের নামসিলেটের সাতকড়ার আচার,সিলেটে উন্দাল এর স্পেশাল ভেজিটেবল,সিলেটের পাঁচলেয়ার চা, সিলেটের চুঙ্গাপুড়া, নদী সমূহ সুরমা, কুশিয়ারা যেভাবে যাবেন সিলেট যেতে হলে আপনি ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে গাড়ি ছাড়ে। তবে গ্রিন লাইন, সোহাগ, হানিফ, আলবারাকা, শ্যামলীসহ অনেক বাস প্রতিদিন ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা করে। যেখানে থাকবেন সিলেটে থাকার মতো ভালোমানের অনেক হোটেল আছে। আপনি ফরচুন গার্ডেন, হোটেল সুপ্রিম এবং হোটেল রোজভিউয়ের মতো আধুনিক হোটেলে থাকতে পারেন। জাফলং-এর দর্শনীয় স্থান সিলেট শহর থেকে জাফলং-এর দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। ভারতের সীমান্তঘেঁষে খাসিয়া জয়ন্তিয়া পাহাড়ের কোলে মনোরম দৃশ্যের এ স্থানটি। জাফলং যেতে পথে পড়বে জৈন্তা রাজবাড়ী, তামাবিল, শ্রীপুর। যেভাবে যাবেন সিলেট থেকে বাসে করে সরাসরি জাফলং যেতে পারেন। যেখানে থাকবেন সিলেটে থেকে আপনি দিনে গিয়ে দিনেই ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে ভালো হোটেল নেই। সুরমা ভেলী সুরমা ভেলীর দুই দিকে পাহাড় পর্বতের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকার মাঝখানে চা রোপণের দৃশ্য ও সবুজ বন সত্যিই মনকে মুগ্ধ করবে। বাংলাদেশের পর্যটন স্হানগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ খাসিয়া, জৈন্তা ও ত্রিপুরা পাহাড় এখানেই অবস্হিত। সিলেট হচ্ছে চা বাগানের একটি শস্যভান্ডার, এখানে ১৫০ টির উপরে চা বাগান আছে যার মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তিনটি চা বাগান এখানে অবস্হিত মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থান মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত পাথরিয়া পাহাড়ের প্রায় ২৭২ ফুট উপর হতে অবিরাম গতিতে জলরাশির নিচে পতিত হওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে মাধবকুণ্ড। মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক, পরিকুন্ড জলপ্রপাত,হামহাম ঝর্না,হাকালুকি হাওড়, বিখ্যাত খাবারের নামচ্যাপ্টা রসগোল্লা মৌলভীবাজার নদী সমূহ যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে সিলেট যেতেই পড়ে মৌলভীবাজার। সেখানে নেমে আপনি মাধবকুণ্ডে বেড়াতে পারেন। যেখানে থাকবেন মাধবকুণ্ডে থাকার কোন ভালো ব্যবস্থা নেই। আপনি শ্রীমঙ্গল টি-রিসোর্টে থাকতে পারেন। শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থান লাউয়াছড়ার সৌন্দর্যমণ্ডিত বনভূমি আর বিস্তীর্ণ চা বাগান দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে শ্রীমঙ্গলে। যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের সরাসরি অনেকগুলো বাস সার্ভিস আছে। সেগুলোতে চড়ে যেতে পারেন। যেখানে থাকবেন শ্রীমঙ্গল টি-রিসোর্ট কয়েকটি জায়গা আছে থাকার। বর্ষিজোড়া ইকোপার্কে বাইক্কা বিল হবিগঞ্জের দর্শনীয় স্থান রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারন্য রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারন্যটি বাংলাদেশের একমাত্র ভার্জিন বন। এই বনের অবস্থান হবিগঞ্জ জেলায়। মূল বনে যাবার মাধ্যম হলো চুনারুঘাট উপজেলা শহর থেকে জীপে অথবা অটোরিকশায়। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান । নদী সমূহ কালনী, কুশিয়ারা, খোয়াই, গোপালা, সুতাং, করোঙ্গী, রতœা, বরাক সুনামগঞ্জের দর্শনীয় স্থান হাছন রাজার বাড়ি সুনামগঞ্জে তার জš§স্থান ও বাসগৃহে রয়েছে একটি সংগ্রহশালা। হাছন রাজার ব্যবহƒত বেশ কিছু জিনিস সংরতি আছে এখানে। টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ আর পাখির অভয়ারণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সুরমা নদী থেকে কিছুটা দুর্গমে টাঙ্গুয়ার হাওর। টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ জাদুকাটা নদী,মহাসিং নদী যেভাবে যাবেন সুনামগঞ্জের পথেও অনেক ভালো বাস সার্ভিস আছে। যেখানে থাকবেন সেখানে থাকার জন্য হাতেগোনা ভালো হোটেল আছে। তবে এমনি কয়েকটা লজও আছে, সেখানে থাকতে পারবেন। খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের দণি-পশ্চিমপ্রান্তে বঙ্গোপসাগরের কাছেই খুলনার অবস্থান। খুলনার পরিচিতি সবার কাছে সুন্দরবনের জন্য। খুলনার দর্শনীয় স্থান খুলনাতে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর অন্যতম। রয়েছে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন “সুন্দরবন”। বিখ্যাত খাবারের নামখুলনার চুই-রাজ হাঁসের মাংস নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। এছাড়া খুলনায় ট্রেনে যাওয়া যাবে। কোথায় থাকবেন : শহর খুলনায় থাকা-খাওয়ার জন্য হোটেল রয়েল, হোটেল টাইগার গার্ডেন, হোটেল ক্যাসল সালামসহ বেশ কয়েকটি ভালো মানের হোটেল রয়েছে। বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থান এই জেলায় রয়েছে খানজাহান আলীর মাজার ও তার দীঘি, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ জামে মসজিদ, ষাটগম্বুজ জাদুঘর, প্রতœতত্ত্বের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন নিদর্শন। খানজাহানের মাজারের পাশে আরও আছে অনেকগুলো মসজিদ ও দীঘি। নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। খুলনা নেমে লোকাল বাসে বাগেরহাট যাবে। কোথায় থাকবেন : থাকা-খাওয়ার জন্য বাগেরহাট সদরে আছে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল। যশোরের দর্শনীয় স্থান শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি। ক্ষণিকা পিকনিক কর্নার (খানজাহান আলী কর্তৃক খননকৃত) ও মির্জানগর।প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে চাঁচড়া রাজবাড়ি, কালী মন্দির, গাজী কালুর দরগা, সিদ্দিরপাশার দীঘি ও মন্দির, রাজা মুকুট রায়ের রাজবাড়ির বিখ্যাত খাবারের নাম যশোরের জামতলার মিষ্টি,যশোরের খেজুরের নোলন গুড়ের প্যারা সন্দেশ যশোরের খেজুর রসের ভিজা পিঠা নদী সমূহ ভৈরব, কপোতাক্ষ, মুক্তেশ্বরী, বেতনা, চিত্রা, হরিহর, শ্রীনদী , টেকানদী, কোদলী নদী, ভদ্রা নদী এবং ইছামতি নদী কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস যশোরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। কোথায় থাকবেন : যশোর শহরে থাকা ও খাওয়ার জন্য মোটামুটি মানের কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। নড়াইলের দর্শনীয় স্থান নড়াইল গিয়ে সবার আগেই হাজির হতে পারেন বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের বাড়ি। বর্তমানে তার বাড়িতে একটি জাদুঘর আছে। বিখ্যাত খাবারের নাম নড়াইলের নলেন গুড়ের সন্দেশ নদী সমূহ চিত্রা, নবগঙ্গা, মধুমতি, ভৈরব, আফরা, কাজলা নদী কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে প্রতিদিন সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন এসি, নন এসি বাস নড়াইলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কোথায় থাকবেন : নড়াইল শহরে থাকার জন্য মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। মাগুরার দর্শনীয় স্থান রাজা সীতারাম রায়-এর রাজবাড়ী (মোহম্মদপুর), কবি কাজী কাদের নওয়াজ-এর বাড়ী (শ্রীপুর), বিড়াট রাজার বাড়ী (শ্রীপুর), পীর তোয়াজউদ্দিন (র) এর মাজার ও দরবার শরীফ (শ্রীপুর)দের চাঁদের হাট, আঠার খাদার সিদ্ধেশ্বরীর মঠ, গরিব শাহের মাজার,হাজী আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব কেবলা রহঃ) এর দরগাহ ও মাজার শরীফ(মাগুরা ভায়না মোড়)। বিখ্যাত খাবারের নামমাগুরায় বিখ্যাত খামারপাড়ার দই। নদী সমূহ গড়াই/মধুমতি, কুমার, চিত্রা, নবগঙ্গা, ফটকী ও মুচিখালী জেলার প্রধান নদ নদী। কুষ্টিয়ার দর্শনীয় স্থান কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় দেখার স্থান হল শিলাইদহের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। এখানে রয়েছে ফকির লালন শাহের মাজার। এছাড়াও দেখতে পাবেন মীর মশাররফ হোসেনের বাড়ি, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। কুষ্টিয়ায় মহিষের দুধের দই।:কুষ্টিয়ার স্পেশাল চমচম কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন এসি/নন এসি বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। নদী সমূহ গড়াই,মাথাভাঙ্গা ,মধুমতি, কুমার কোথায় থাকবেন : কুষ্টিয়া শহরে থাকা ও খাওয়ার জন্য মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় এসব হোটেলে প্রতি রাত থাকা খাওয়া যায়। ঝিনাইদাহ দর্শনীয় স্থান মিয়ার দালান : জেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নবগঙ্গা নদীর তীরে মুরারীদহ গ্রামে প্রাচীন জমিদার বাড়ি মিয়ার দালান অবস্থিত। নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী মন্দির : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের দুই কিলোমিটার পশ্চিমে নলডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। বারোবাজার : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নে রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপনা। ধারণা করা হয়, বহুকাল আগে এখানে সমৃদ্ধ একটি শহরের অস্তিত্ব ছিল। গোরাই মসজিদ : ১৯৮৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ মসজিদটির সংস্কার করে। গলাকাটা মসজিদ : বারোবাজার-তাহিরপুর সড়কের পাশে অবস্থিত পোড়ামাটির কারুকাজ-সমৃদ্ধ প্রাচীন মসজিদ। জোড়বাংলা মসজিদ : ১৯৯২-৯৩ সালে খননের ফলে বারোবাজারের এ মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। পাতলা ইটে নির্মিত এ মসজিদটি উঁচু একটি বেদির ওপরে নির্মিত। সাতগাছিয়া মসজিদ : বারোবাজার থেকে এ মসজিদের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। এ মসজিদটি ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম স্থানীয় জনগণ আবিষ্কার করে। কালু ও চম্পাবতীর সমাধি : বারোবাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গাজী-কালু ও চম্পাবতীর সমাধি। গাজী-কালু ও চম্পাবতীর সমাধি নিয়ে নানান লোককাহিনি প্রচলিত আছে। শৈলকুপা শাহী মসজিদ : জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে শৈলকুপা বাজারের পাশেই অবস্থিত প্রাচীন স্থাপনা শৈলকুপা শাহী মসজিদ। মলিস্নকপুরের বটবৃক্ষ : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে দশ কিলোমিটার পূর্বে মলিস্নকপুরে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি বটবৃক্ষ। নবগঙ্গার সেই রূপ নেই। নেই ঝিনুকেরও সমাহার। তারপর নবগঙ্গা নদী ছাড়া দর্শনীয় স্থানের তালিকায় রয়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় কুমার নদের তীরে দরগা পাড়ার প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি উত্তরে ৩১ ফুট ও দক্ষিণে ২১ ফুট লম্বা। এর পূর্ব দেয়ালে ৩টি ও উত্তর-দক্ষিণ দেয়ালে ২টি করে দরজা আছে। এর ৬টি গম্বুজ আছে। এ মসজিদটি সুলতান নাসির উদ্দিন শাহ ১৫১৯-১৫৩১ সালের মধ্যে কোন এক সময় তৈরি করেন। এর কারুকাজ এখনো শিল্পবোদ্ধাদের কৌতূহলের উদ্রেগ করে। ঐতিহাসিক গোরাই মসজিদ।: ঝিনাইদহ থেকে বারবাজারের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এখানে আছে ঐতিহাসিক গোরাই মসজিদ। বারবাজারে ১২৬টি দিঘি ও পুকুর আছে। স্থানীয়দের ভাষায় এ মসজিদটি গোরাই গাজীর মসজিদ। এ মসজিদের গম্বুজ ১টি হলে এর কারুকাজ কিন্তু সৌন্দর্যে কোন অংশে কম নয়। ঝিনাইদহ শহরের পাশেই পাগলা কানাইয়ের মাজার। মুরারিদহে কুমার নদের পাশে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীলকুঠিয়ালদের বাড়ি। নীলকুঠি : ঝিনাইদহে যাবেন আর নীলকুঠি দেখবেন না তা কিন্তু হয় না। বাংলার নীলচাষ ও নীলবিদ্রোহ সম্পর্কে জানার জন্য কৌতূহল আপনাকে তাড়া করে ফিরবে। মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনকালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ আর দুই বছর পর, মানে ২০১২ সালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটির বয়স ১০০ বছর হবে। নদী সমূহ বেগবতী, ইছামতী, কোদলা, কপোতাক্ষ, নবগঙ্গা, চিত্রা ও কুমার নদী কিভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সড়কপথে সরাসরি ঝিনাইদহ যাওয়া যায়। গাবতলী বাস স্টেশন থেকে জে আর পরিবহন (০১৭১৯৮১৮৪৮৩), পূর্বাশা পরিবহন (০১৭১৯৮৮৮৪২৪), চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স (০১৭১২০১৭৪৯৬), শ্যামলী পরিবহন, ঈগল পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এসবি পরিবহন, দিগন্ত পরিবহনসহ আরো অনেক বাস ঝিনাইদহ যায়। ভাড়া ২৫০-২৮০ টাকা। কোথায় থাকবেন : মাওলানা ভাসানী সড়কে হোটেল ঝিনুক (০৪৫১-৬১৪৬০, নন এসি একক ১০০ টাকা, নন এসি দ্বৈত ২৫০ টাকা, এসি দ্বৈত ৪০০ টাকা)। পোস্ট অফিস মোড়ে হোটেল জামান (০১৭১১১৫২৯৫৪, নন এসি একক ৬০ টাকা, নন এসি দ্বৈত ১২০ টাকা)। মেহেরপুরের দর্শনীয় স্থান মেহেরপুর জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে এই মুজিবনগর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এখানেই গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। আরও দেখতে পাবেন আমঝুপি নীলকুঠি, দর্শনা চিনিকল, কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চত্বর, বলভপুর মিশন, বরকত বিবির মাজার, শেখ ফরিদের দরগাহ, বলভপুর শিব মন্দির, স্বামী নিগমানন্দের আশ্রম, ভাইকারা নীলকুঠি, সাহার কাঠি নীলকুঠি ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নাম বিখ্যাত মিষ্টি সাবিত্রি ও রসকদম্ব নদী সমূহ কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে গাবতলী থেকে সোহাগ, হানিফ, ঈগল, একে ট্রাভেলসসহ বিভিন্ন বাস ছেড়ে যায়। কোথায় থাকবেন : মেহেরপুর শহরে থাকার জন্য মোটামুটি মানের বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে। সাতক্ষীরার দর্শনীয় স্থান সুন্দরবন, ভোমরা স্থল বন্দর বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে থাকে। এ ছাড়া শ্যামনগরের বংশীপুর, শাহী মসজিদ, ঈশ্বরীপুরের যশোরেশ্বরী মন্দির, হাম্মামখানা, জমিদার বাড়ি, মৌতলাব জাহাজঘাটা নৌদুর্গ, দেবহাটার নীলকুঠি, সাতক্ষীরার নবরতœ মন্দির, কালিগঞ্জের খানবাহাদুর আহলান উল্লাহর সুদৃশ্য মাজারসহ এ জেলার অসংখ্য প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন রয়েছে। বিখ্যাত খাবারের নাম খাদ্যদ্রব্য হিসেবে সাতক্ষীরার চিংড়ি মাছ সন্দেশ, বিলাতিকুল, ওল এবং ঘোলের অনেক সুনাম আছে সারা দেশে নদী সমূহ মুনা, ইছামতি, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া সোনাই, বেতনা, রায়মঙ্গল, মরিচচাপ বরিশাল বিভাগ বরিশাল ভাবলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে দিগদিগন্ত বিস্তৃত অসংখ্য নদী-নালা খাল-বিল। কথায় বলে, ধান-নদী-খালÑএই তিনে বরিশাল। পুরো বরিশালজুড়েই নদীর শাসন। বরিশালের দর্শনীয় স্থান এখানে দেখতে পাবেন প্রাচীন বাংলার খ্যাতিমান চারণকবি মুকুন্দ দাশের স্মরণে নির্মিত একটি কালীমন্দির। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের বাড়ি, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের মহিমাময় স্মৃতি এবং কীর্তিকে ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘর, সব শ্রেণীর মানুষের নয়নমন কাড়া দুর্গাসাগর দীঘি। এগুলো ছাড়াও শহর এবং আশপাশে বেড়ানোর মতো বেশ কিছু স্পট রয়েছে। যেমনÑকালিজিরা ব্রিজ, ক্যাডেট কলেজ, লিচু শাহের মাজার, বিমানবন্দর, পদ্মপুকুর, অমৃত লাল দে কলেজ ইত্যাদি। এছাড়া বরিশালে আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বিখ্যাত খাবারের নামনিতাইয়ের কাঁচা গোল্লা (বরিশাল)বরিশালের নারকেল নাড়ু,আমড়া,বরিশালের শশী মিষ্টি নদী সমূহ কিভাবে যাবেন : বাসযোগে বরিশাল গেলে সাকুরা, দ্রুতি, হানিফ কিংবা ইংলিশ পরিবহন নির্ভরযোগ্য বাহন। নৌপথে গেলে পারাবাত, দ্বীপরাজ, সুন্দরবন, সাগর, সুরভি ইত্যাদিতে যাওয়া যায়। কোথায় থাকবেন : রাত কাটানোর জন্য বরিশালে বেশকিছু হোটেল রয়েছে। যেমন হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল পুনম, হোটেল দিদার, হোটেল গুলবাগ, হোটেল নূপুর, হোটেল ইম্পেরিয়াল ইত্যাদি। বরগুনার দর্শনীয় স্থান বিষখালী ও পায়রা নদীর মোহনায় জেগে উঠেছে ছোট্ট অথচ সুন্দর একটি দ্বীপÑহরিণবাড়িয়ার চর। এ এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে হরিণের দেখা মেলে। ঠাকুরপাড়ায় রয়েছে রাখাইন সম্প্রদায় অধ্যুষিত রাখাইনপাড়া। আনুমানিক দু”শ বছর আগে রাখাইনরা এখানে এসে আবাসন গড়ে তোলে। বরগুনায় আরও রয়েছে তালতলীর বৌদ্ধমন্দির, বেতাগীর বিবিচিনি মসজিদ, ছাতনাপাড়ার বৌদ্ধমঠ ও প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তি। বিখ্যাত খাবারের নাম নদী সমূহ পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর কীভাবে যাবেন : নদীপথ এবং সড়কপথÑউভয়ভাবেই বরগুনা যাওয়া যায়। নদীপথে যাওয়ার সুবিধা হচ্ছেÑনদী এবং বিভিন্ন নৌযানের চলাচল দেখতে পাওয়া যায়। সড়কপথে যাওয়ার জন্য রয়েছেÑঈগল পরিবহন, দ্রুতি ও বিআরটিসির বাস। কোথায় থাকবেন : রাতযাপন করার জন্য বরগুনায় রয়েছে বেশকিছু আবাসিক হোটেল। তার মধ্যে উলেখযোগ্যÑহোটেল আলম ও হোটেল তাজবিন। ভোলার দর্শনীয় স্থান চরের সমারোহ চরফ্যাশনে। এ জায়গার নামেও তেমন আগাম আভাস পাওয়া যায়। অনুপম সৌন্দর্য খেলা করে দণিাঞ্চলে। এখানকার চরগুলো হচ্ছেÑলক্ষ্মীপী, চরফকিরা, মেঘভাসান, আইচা, লেতরা, নীলকমল, কচ্ছপিয়া, চরমঙ্গল, চরকিশোর, মায়ারচর। দৌলতখানে রয়েছে কালা রায়ের বিশালাকৃতির দোতলা দালান, দীঘি, স্মৃতিমঠ, সীমানাপ্রাচীর ইত্যাদি। বোরহানউদ্দিনের দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছেÑবোরহানউদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি, কুতুবা, গঙ্গাপুর, থামাননগর, বড়মানিকা, পাকাশিয়া, দেউলা, কাচিয়া, সাচড়া ইত্যাদি। বিখ্যাত খাবারের নামনারিকেল, মহিষের দুধের দই নদী সমূহ কিভাবে যাবেন : দু’ভাবে ভোলা যাওয়া যায়। সড়কপথে লক্ষ্মীপুরের মৌজারহাট এসে সেখান থেকে নদীপথে অথবা সরাসরি ঢাকার সদরঘাট থেকে নৌপথে। কোথায় থাকবেন : ভোলায় বেশকিছু হোটেল রয়েছেÑশীশমহল, হোটেল জাহান, হাবিব, গোল্ডেন পাজা, রয়েল, নিরালা, আহমদ ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি। পিরোজপৃর দর্র্শনীয় স্থান রায়েরকাঠী জমিদার বাড়িঃ ৮০ একর জমির ওপর বাড়িটি। সতেরো শতকে নির্মিত। মহারাজ কিংকর রায় ছিলেন বারো ভূঁইয়াদের একজন। তাঁরই বংশধর রাজা রুদ্র নারায়ণ রায় স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ১৬৫৮ সালে বাড়িটি তৈরি করেন। জেলা সদরের পুলিশ লাইনস সড়কে বাড়িটি অবস্থিত। বাড়িসংলগ্ন শিবমন্দিরে ৪০ মণ ওজনের একটি শিবলিঙ্গ আছে। সদর বাসস্ট্যান্ড থেকে জমিদারবাড়ি দুই কিলোমিটার। রিকশায় ভাড়া লাগে ১৫ টাকা। বলেশ্বর ঘাট শহীদ স্মৃতিস্তভ: পিরোজপুর শহরের পশ্চিম পাশ্বে বলেশ্বর নদীর তীরে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পিরোজপুরের আদূরে চালিতাখালী গ্রাম নাগরপুর জমিদারবাড়ি : পেয়ারা বাজার: দক্ষিণাঞ্চলের আপেল হিসেবে পেয়ারা বেশ পরিচিত। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী দেশের ৮০ ভাগ পেয়ারা এ অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। নদী সমূহ কীভাবে যাবেন ঃ পিরোজপৃর যেতে হলে ঢাকা থেকে পিরোজপুরের যে কোনও বাসে চড়ে অথবা নদী পথে পিরোজপৃর যেতে পারেন। ঝালকাঠি র দর্র্শনীয় স্থান রাজাপুর সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি : রাজাপুর- পিরোজপুর মহাসড়কের বেকুটিয়া ফেরিঘাটের কিছু পূর্বে সাতুরিয়া গ্রামের জমিদার বাড়ির মাতুলালয়ে বাংলার বাঘের জন্ম। কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ী গাবখান সেতু :৫ম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু। যেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গাবখান চ্যানেলের উপর দিয়ে। নেছারাবাদ কমপ্লেক্স : সিদ্ধকাঠি জমিদার বাড়ী কামিনী রায় /যামিনী সেনের বাড়ি : স্বনামধন্য কবি কামিনী রায়ের পৈত্রিক বাড়ি বাসন্ডা গ্রামে। পৈত্রিক ভবনের ধ্বংসাবশেষ আছে। কামিনী রায় প্রথম মহিলা স্নাতক। কামিনী রায়ের বোন যামিনী সেন প্রথম মহিলা ডাক্তার। নদী সমূহ সন্ধা, সুগন্ধা নদী, বিশখালী নদী এবং গাবখাননদী কীভাবে যাবেন ঃ ঝালকাঠি যেতে হলে বাস এবং স্টিমার করে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি যেতে পারেন। পটুয়াখালীর দর্র্শনীয় স্থান শুধুমাত্র নদী কিংবা সবুজ প্রকৃতি দিয়েই নয়, পটুয়াখালী যথেষ্ট সমৃদ্ধ প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনেও। এ জেলায় রয়েছে নূরানপুর রাজবাড়ি, রতনদীর গুরিন্দা মসজিদ, সুতাবাড়িয়া দয়াময়ী মন্দির, শ্রীরামপুর মিয়াবাড়ি মসজিদ, শাহী মসজিদ, মদনপুরা সিকদারবাড়ি, অন্ধকূপ, ডোল সমুদ্রের দীঘি, সিকদারিয়া জামে মসজিদ, কবিরাজবাড়ি দীঘি, কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহার, কমলরানীর দীঘি, সুলতান ফকিরের মাজার ইত্যাদি। পটুয়াখালীর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। কুয়াকাটা কারও কাছে সাগরকন্যা। কুয়াকাটায় রয়েছে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। সোনারচর সৈকত ,জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর পূর্বদিকে উঁচু টিলার ওপর রয়েছে একটি বৌদ্ধমন্দির। মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে অষ্ট ধাতুর নির্মিত সাঁইত্রিশ মণ ওজনের ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধমূর্তি। কুয়াকাটার ২ কিলোমিটার পশ্চিমে শুঁটকিপট্টি। কুয়াকাটায় রয়েছে রাখাইনদের মার্কেট। নদী সমূহ কীভাবে যাবেন ঃ পটুয়াখালী যেতে হলে ঢাকা থেকে বরিশালের যে কোনও বাসে চড়ে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালী যেতে পারেন। ভোলার দর্র্শনীয় স্থান ওয়ান্ডার কিংডম ভোলা জেলা অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হলেও এখানে বানিজ্যিকভাবে তেমন কোন পার্ক বা চিত্তবিনোদনের তমন কোন ব্যবস্থা নেই।তবে সম্প্রতি ওয়ান্ডার কিংডম নামক নামে একটি পার্ক স্থাপিত হয়েছে ভোলা সদরের চরনোয়াবাদ এলাকায়। মনপুরা দ্বীপ জমিদার বাড়ি: জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও অনেক জমিদার বাড়ি সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। যেমন_ মানিকা মিয়া বাড়ি, কুতুবা মিয়া বাড়ি, দেউলা তালুকদার বাড়ি, পরান তালুকদার বাড়ি, রজনী করের বাড়ি ইত্যাদি মহিষের বাথানের: ভোলা মহিষের বাথানের জন্য বিখ্যাত। ভোলার বিভিন্ন চরে অর্ধশতাধিক মহিষের বাথান আছে। এসব বাথান থেকে প্রতিদিন শত শত কেজি দুধ উৎপাদিত হয় এ
সূত্র: ফেজবুক (কপি পোষ্ট)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন